জুমবাংলা ডেস্ক : ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের চেতনাকে রক্ষা ও প্রতিষ্ঠার জন্য জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন থেকে পদত্যাগী সমন্বয়ক ও শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে ‘গণ-অভ্যুত্থান রক্ষা আন্দোলন’ নামে নতুন প্লাটফর্ম গঠন করা হয়েছে।
সোমবার (২১ অক্টোবর) বিকেল ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) কনফারেন্স কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে নতুন প্ল্যাটফর্মের ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা।
এই প্লাটফর্মের কমিটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী আব্দুর রশিদ জিতুকে আহ্বায়ক এবং সরকার ও রাজনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী ফাহমিদা ফাইজাকে সদস্য সচিব করা হয়েছে। এ ছাড়া কমিটিতে মুখপাত্র হিসেবে মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী ইমরান শাহরিয়ার ও যুগ্ম-আহ্বায়ক হিসেবে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের রুদ্র মোহাম্মদ সফিউল্লাহ দায়িত্ব পালন করবেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে গণ-অভ্যুত্থান রক্ষা আন্দোলনের মুখপাত্র ইমরান শাহরিয়ার বলেন, রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আমাদের কাঙ্ক্ষিত দ্বিতীয় স্বাধীনতা অর্জন হয়েছে। গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে পুরো জাতির বুকে একটি নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন জাগ্রত হয়েছে। যেখানে কোনো ফ্যাসিবাদী শক্তি, বৈষম্য ও নিপীড়ন থাকবে না। সেখানে থাকবে ন্যায় বিচারের নিশ্চয়তা, জীবন ও জীবিকার নিরাপত্তা। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হবে নিরাপদ ও উচ্চ শিক্ষার জন্য যথোপযুক্ত।
ইমরান শাহরিয়ার আরও বলেন, বর্তমানে দেখতে পাচ্ছি, অন্তবর্তীকালীন সরকার গণ-অভ্যুত্থানের চেতনা লালন করতে পারছে না। এ সংকট সরকারের অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক উভয় অংশীজন কর্তৃক সৃষ্ট। ফ্যাসিবাদের দোসররা ভেতরে ও বাইরে থেকে সরকারকে এই গণ-অভ্যুত্থানের চেতনাকে সমুন্নত করতে বাধা প্রদান করছে। পাশাপাশি বিভিন্ন বিষয়ে সরকারের সদিচ্ছার অভাব ও গাফলতি এ সংকট বাড়িয়ে দিয়েছে। এতে ফ্যাসিবাদী শক্তি পুনর্বাসিত হচ্ছে। নতুন বাংলাদেশে জন-মানুষের জীবন ও জীবিকার নিরাপত্তা দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে। যে সংস্কারগুলো আমরা আশা করেছিলাম, সেসব সাংবিধানিক-প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারগুলোতে দীর্ঘসূত্রিতা দেখা দিচ্ছে।
গণ-অভ্যুত্থান রক্ষা আন্দোলনের আহ্বায়ক আবদুর রশিদ জিতু বলেন, গণ-অভ্যুত্থানের চেতনাকে রক্ষা ও প্রতিষ্ঠা করার জরুরিয়ত সৃষ্টি হয়েছে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন মত ও পথের শিক্ষার্থীরা আলাদা আলাদাভাবে একই লক্ষ্য অর্জনের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। তাই বৃহত্তর পরিবর্তনের জন্য সম্মিলিত প্রচেষ্টা জরুরি। তার প্রেক্ষিতে জুলাই অভ্যুত্থানের চেতনাকে রক্ষা ও প্রতিষ্ঠার জন্য ‘গণ-অভ্যুত্থান রক্ষা আন্দোলন’ নামে আমরা একত্রিত হয়েছি। আমরা আমাদের সর্বশক্তি দিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সহযোগিতা করব এবং একইসঙ্গে তার লাগামও টেনে ধরব।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।