ওমর ফারুক হিমেল, জার্মানি: জার্মানির বার্লিনস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে গতকাল (৫ সেপ্টেম্বর) ‘ই-পাসপোর্ট’ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
জার্মানিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোঃ মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ আবদুল্লাহ আল মাসুদ চৌধুরী এবং ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আইয়ূব চৌধূরী।
করোনা অতিমারির নানা বিধিনিষেধ মেনে অনুষ্ঠানটি দূতাবাসের সম্মেলন কক্ষে আয়োজন করা হয়। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের সকল বিদেশস্থ মিশনের মধ্যে প্রথম দূতাবাস হিসেবে বার্লিন, দূতাবাসে ‘ই-পাসপোর্ট’ কার্যক্রম চালু হলো।
অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, ই-পাসপোর্ট বাংলাদেশের জনগণের জন্য মুজিববর্ষের উপহার। যুগের চাহিদা ও উন্নত দেশের সাথে তাল মিলিয়ে জাতীয় অবস্থান মর্যাদা সুসংহত করার লক্ষ্যে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর ইতোমধ্যে বাংলাদেশের সকল পাসপোর্ট অফিস থেকে ই-পাসপোর্ট প্রদান করছে।
তিনি বলেন, বিদেশস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের মধ্যে জার্মানির বার্লিনে প্রথম ই-পাসপোর্টের roll-out আজ থেকে শুরু হতে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে প্রায় ১৫ লাখ আবেদন জমা হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ১০ লক্ষ পাসপোর্ট বিতরণ করা হয়েছে।
রাষ্ট্রদূত মোঃ মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও নেতৃত্বের গুণাবলি ধারণ করে তাঁর সুযোগ্য কন্যা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা’র নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন, অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা নিশ্চিতকরণের পাশাপশি বলিষ্ঠ ও নিরপেক্ষ কূটনীতির মাধ্যমে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।’
তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বার্লিন দূতাবাসে ই-পাসপোর্ট’ কার্যক্রম শুরু করার জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ আবদুল্লাহ আল মাসুদ চৌধুরী বলেন, ‘ই-পাসপোর্ট মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। এর মূল লক্ষ্য বিশ্বব্যাপী আরো নিরাপদ ও বিশ্বাসযোগ্যতার সাথে বাংলাদেশি পাসপোর্ট চালু করা। অধিক তথ্য সংরক্ষণের জন্য অত্যাধুনিক চিপের অন্তর্ভুক্তি, উন্নত নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য, বৈধতার মেয়াদ বৃদ্ধি, স্মার্ট ইমিগ্রেশন পদ্ধতির প্রবর্তন বিশ্বের কাছে বাংলাদেশকে আরও সম্মানজনক অবস্থানে উপস্থাপনের ব্যাপক সুযোগ করে দিয়েছে।’
অনুষ্ঠানে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আইয়ূব চৌধূরী বলেন, ‘মুজিব শতবর্ষের শুরুতে এটি জাতির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। করোনা মহামারী সত্বেও ২০২১ সালের জুনের শেষের দিকে দেশের সকল আরপিও সমূহে ই-পাসপোর্ট সিস্টেম চালু করা হয়েছে।’
ভেরিডসের সিইও এন্ডরিয়েস রাসমিয়ার তাঁর বক্তব্যে এই প্রকল্পের অভিজ্ঞতা উল্লেখ করার পাশাপাশি বাংলাদেশ সরকার ও দূতাবাসকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
বাংলাদেশ দূতাবাস, বার্লিনে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রমের উদ্বোধন করার পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীসহ অতিথিগণ দুইটি ই-পাসপোর্ট আবেদন প্রক্রিয়া গ্রহণ সরাসরি প্রত্যক্ষ করেন। এই সময় দূতাবাসের কাউন্সেলর (কনস্যুলার), কাজী তুহিন রসুল ই-পাসপোর্ট আবেদন প্রক্রিয়াটি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও অতিথিবৃন্দের সামনে উপস্থাপন করেন।
দূতাবাসের দ্বিতীয় সচিব মোঃ খালিদ হাসান অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ও অতিথিবৃন্দকে অনুষ্ঠানে অভ্যর্থনা জানান। ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাগণ, জার্মানিতে বাংলাদেশ কমিউনিটির সদস্যগণ ও দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারিবৃন্দ এতে উপস্থিত ছিলেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।