মুদ্রাস্ফীতি যখন উচ্চাহারে বাড়ে তখন তাকে উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি বা হাইপার ইনফ্লেশন বলে। প্রতিমাসে দ্রব্যমূলের দাম ৫০ শতাংশের বেশি বাড়লে তা উচ্চ মুদ্রা স্ফীতির অন্তর্গত বলে ধরে নেওয়া হয়। এতে করে স্থানীয় মুদ্রার মান দুর্বল হয়ে যায়।
ইতিহাসের দিকে তাকালে দেখা যায় যে এর আগে মুদ্রাস্ফীতির কবলে পড়ে অনেক রাষ্ট্র ভয়াবহ বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়েছিল। তবে মূলত যুদ্ধের কারণেই বেশিরভাগ সময়ই এই উচ্চ মুদ্রাস্ফীতির ঘটনা ঘটেছিল।
১৯২২ সালের দিকে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের ফলাফল হিসেবে জার্মানীতে উচ্চ মুদ্রাস্ফীতির ঘটনা ঘটেছিল। ওই সময় মিত্রপক্ষ জার্মানির একটি শিল্প উন্নত এলাকা দখল করে নেয় এবং সেখানের সকল উৎপাদিত পণ্য জব্দ করে।
এরপর অতিরিক্ত অর্থ ছাপালে স্থানীয় মুদ্রার মান দুর্বল হয়ে যায়। অতিরিক্ত মুদ্রা ছাপার ফলে রুটি ও ডিম সহ নিত্য দিনের প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম মারাত্মক বেড়ে গিয়েছিল। ১৯৪৪ সালে জার্মানি এবং রাশিয়া হাঙ্গেরির মধ্যে যুদ্ধ পরিচালনা করে।
সেখানে জার্মানি এবং রাশিয়া একে অপরের মুখোমুখি হয়। ফলে হাঙ্গেরির মধ্যে অনেক শিল্প উন্নত এলাকা ধ্বংস হয়ে যায় এবং পণ্য উৎপাদনের ক্ষমতা কমে যায়। জার্মানি ও রাশিয়া উভয় দেশ হাঙ্গেরির অনেক সম্পদ নিয়ে যায়।
ফলে হাঙ্গেরির জনগণ ইতিহাসের ভয়াবহ মুদ্রাস্ফীতি দেখতে পায়। তারা এর আগে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে এত জটিল পরিস্থিতিতে কখনো পড়েনি। নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য ও খাবারের দাম যেভাবে বাড়তে থাকে তা অরাজগতা ও বিশৃঙখলার মত পরিস্থিতি সৃষ্টি করে।
দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত মানুষ কালোবাজার থেকে পণ্য কিনতে থাকে। মুদ্রাস্ফীতির কারণে হাঙ্গেরিই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। তবে বর্তমানে তারা অনেক ভালো অবস্থানে রয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।