জুমবাংলা ডেস্ক: শেরপুরে নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী ছেলে দুলাল মিয়ার পক্ষে জাল ভোট দেওয়ার চেষ্টাকালে আটক হয়েছেন বাবা আশরাফ আলী। শ্রীবরদী উপজেলার কেকেরচর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে ভাটি লংগরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে আজ বুধবার দুপুর ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া ওই কেন্দ্র থেকে নৌকার আরেক এজেন্ট ও নারীসহ সাতজনকে আটক করা হয়েছে। ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করে প্রভাব বিস্তার, জাল ভোট দেওয়ার চেষ্টা এবং বিশৃঙ্খলা করার অভিযোগে তাঁদের আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন পূর্ব ঝিনিয়া গ্রামের নাজিম উদ্দিন (২৮), ভাটি লংগরপাড়া গ্রামের রুবেল মিয়া (২৩), দুখু বেগম (৫০), দক্ষিণ লংগরপাড়া গ্রামের হ্যাপি আক্তার (৬০), মঞ্জু মিয়া (৪০), মধ্য লংগরপাড়া গ্রামের মো. সোহেল (১৮) ও সুমি আক্তার (৩০)। ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শ্রীবরদী উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আতাউর রহমান তাঁদের আটক করেছেন।
এদিকে ঝিনাইগাতী উপজেলার তিনটি কেন্দ্র থেকে একই অভিযোগে চারজনকে আটক করা হয়েছে।
এ ছাড়া শ্রীবরদীর কেকেরচর ইউপির উত্তর খড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে প্রকাশ্যে প্রচারণা চালানো ও ভোটার স্লিপ বিতরণের অভিযোগে বিল্লাল হোসেন (২০) নামের এক যুবককে আটক করা হয়। তিনি মাইক প্রতীকের মেম্বার প্রার্থীর পক্ষে সেখানে প্রচারণা চালাচ্ছিলেন। পরে সেখানে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে বিল্লাল হোসেনকে দুই হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে ১৫ দিনের কারদণ্ডাদেশ প্রদান করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শ্রীবরদী উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আতাউর রহমান এ আদেশ দেন।
স্ট্রাইকিং ফোর্সের ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শ্রীবরদী উপজেলার এসি ল্যান্ড মো. আতাউর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। কোনো কেন্দ্রে অনিয়মের সংবাদ পেলেই সেখানে তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
পঞ্চম ধাপে আজ বুধবার শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার সাতটি এবং শ্রীবরদী উপজেলার খড়িয়া কাজীর চর ইউপিসহ (কেকেরচর) আট ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
পঞ্চম ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৩৬ হাজার ৪৫৭ জন প্রার্থী। তাদের মধ্যে চেয়ারম্যান ৩ হাজার ২৭৪ জন, সংরক্ষিত সদস্য সাত হাজার ৯৫০ এবং সাধারণ সদস্য ৩৯ হাজার ৩৯১ জন। এ ধাপে মোট ভোটার সংখ্যা ১ কোটি ৪২ লাখ ২০ হাজার ১৯৫ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ৬৮ লাখ ৩৬ হাজার ৩১ জন ও পুরুষ ৭০ লাখ ৬০ হাজার ১৪০ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ২১ জন।
চলমান ইউপি নির্বাচনে এরই মধ্যে চার ধাপের ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। গত ২১ জুন ও ২০ সেপ্টেম্বর প্রথম ধাপের দুই দফায় ৩৬৯টি এবং ১১ নভেম্বর দ্বিতীয় ধাপে ৮৩৩টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ২৮ নভেম্বর তৃতীয় ধাপে এক হাজার ইউপিতে ভোট হয় এবং চতুর্থ ধাপে ২৬ ডিসেম্বর ৮৩৬ ইউপি নির্বাচন হয়েছে।
এছাড়া ষষ্ঠ ধাপে আগামী ৩১ জানুয়ারি ২১৯ ইউপিতে, সপ্তম ধাপে ৭ ফেব্রুয়ারি ১৩৮ ইউপিতে এবং অষ্টম ধাপে ৮ ইউপিতে আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।