জুমবাংলা ডেস্ক : সফররত ইইউ ইলেকশন এক্সপার্ট মিশনের প্রতিনিধি দলের সাথে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল- জাসদের এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সংসদ সদস্য ভবন কমপেক্সে জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনুর ফ্লাটে আজ অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে হাসানুল হক ইনু এমপি, সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার এমপি ও কার্যকরী সভাপতি রবিউল আলম উপস্থিত ছিলেন।দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরিস্থিতি ও দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে দেড় ঘন্টাব্যাপী এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
দলের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ শনিবার বলা হয় , বৈঠকে ইইউ ইলেকশন এক্সপার্ট কমিশনের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন তাদের রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মি. আলেক্সান্ডার ম্যাটুস, লিগ্যাল/হিউম্যান রাইটস বিশেষজ্ঞ মিজ্ রেবেকা কক্স।
তারা সংবিধান, নির্বাচনী আইন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরিস্থিতি, জাসদের দলীয় ইতিহাস, অবস্থান ও ভূমিকা, ১৪ দলীয় নির্বাচন জোট ইত্যাদি বিষয়ে জানতে চান।
প্রতিনিধি দলের প্রশ্নের জবাবে হাসানুল হক ইনু বলেন, দেশের সংবিধান ও আইন অনুযায়ী পরিচালিত একটি প্রজাতন্ত্র বাংলাদেশ। দেশের কোনো ব্যক্তিই সংবিধান ও আইনের উর্ধে নন। দেশের বিচার বিভাগ অত্যন্ত শক্তিশালী ও স্বাধীন। সরকার বা নির্বাহী বিভাগ দ্বারা কোনো ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্থ হলে তার প্রতিকার পাবার জন্য আইনের আশ্রয় নেয়ার অধিকার সুসংরক্ষিত। প্রায়শই নির্বাহী বিভাগ দ্বারা ক্ষতিগ্রস্থ ব্যক্তি প্রতিকার পাবার জন্য আদালতে প্রার্থনা করেন এবং আদালত নির্বাহী বিভাগের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রমাণ পেলে নির্বাহী বিভাগের বিরুদ্ধে রায় দিয়ে থাকেন।
তিনি বলেন, বিএনপি বা জামাতের যারা গ্রেফতার হয়েছে বা যারা বিচারিক প্রক্রিয়ায় দন্ডিত হয়েছেন, তারা রাজনৈতিক কর্মী হলেও সর্বজনীন গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক প্রক্রিয়া, চর্চা, অনুশীলন, সংস্কৃতির বাইরে গিয়ে সন্ত্রাসবাদী তৎপরতায় যুক্ত হয়েছিলেন। তাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদী কর্মকান্ডের সুনির্দিষ্ট প্রমাণের ভিত্তিতে আদালত দন্ডাদেশ প্রদান করেছে। তারপরও তাদের নিম্ম আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপীল করার অধিকার সুসংরক্ষিত আছে।
ইনু বলেন, দুর্ভাগ্যজনক হলেও এটা সত্য যে, বিএনপি ও জামাত স্বাভাবিক গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক পথ পরিহার করে সম্পূর্ণ সন্ত্রাসবাদী রাজনৈতিক শক্তিতে পরিণত হয়েছে। জামাত স্বীকৃত এবং উচ্চ আদালতে প্রামাণীত যুদ্ধাপরাধী দল। দেশের সংবিধান ও আইন অনুযায়ী যুদ্ধাপরাধী ও যুদ্ধাপরাধীদের দলের রাজনীতি ও দল করার অধিকার নাই।
তিনি বলেন, সংবিধান অনুযায়ী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে, বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন দেশের সংবিধান প্রদত্ত ক্ষমতা ও এখতিয়ারের ভিত্তিতে স্বাধীনভাবে অত্যন্ত দক্ষতার সাথে নির্বাচন অনুষ্ঠানের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। সরকার ও নির্বাহী বিভাগ সংবিধান ও আইন অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনের চাহিদা অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনকে সহযোগীতা প্রদান করে যাচ্ছে। বিএনপি নির্বাচন বর্জন ও প্রতিহত করার সন্ত্রাসবাদী রাজনীতির পথ পরিহার করে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলে নির্বাচন আরও প্রতিদ্বন্ধিতাপূর্ণ হতো।
নির্বাচন যত প্রতিদ্বন্ধিতাপূর্ণ হয় ততই নির্বাচন সৌন্দর্যমন্ডিত হয় উল্লেখ করে জাসদ সভাপতি বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগী হিসাবে এবং বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ও প্রতিষ্ঠানসমূহকে শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে ইউরোপীয় ইউনিয়ন যে ভূমিকা পালন করে আসছে ভবিষ্যতেও সেই সহযোগীতা অব্যাহত থাকবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।