বিনোদন ডেস্ক : বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সমিতির নির্বাচনে জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিল ও নিপুণ আক্তারকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করে নির্বাচনী আপিল বোর্ডের দেওয়া সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে সমিতির নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে জায়েদ খানের দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে কোনো রকম প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না করতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
নির্বাচনী আপিল বোর্ডের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করা জায়েদ খানের রিটের প্রাথমিক শুনানির পর গতকাল সোমবার রুলসহ এই আদেশ দেন বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের বেঞ্চ। আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি রুল শুনানির তারিখ রাখা হয়েছে।
গত ২ ফেব্রুয়ারি সমাজসেবা অধিদপ্তরের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে ৫ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনী আপিল বোর্ডের দেওয়া সিদ্ধান্ত কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ও অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, রুলে জানতে চাওয়া হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব, সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, পরিচালক, উপপরিচালক, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সমিতির সোহানুর রহমান সোহান, মোহাম্মদ হোসেন, নিপুণ আক্তার ও মোহাম্মদ হোসেন জেমিকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে জায়েদ খানের পক্ষে শুনানি করেন ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, আহসানুল করীম ও নাহিদ সুলতানা যূথী। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন মজিবুল হক ভুঁইয়া। নিপুণের পক্ষে ছিলেন রোকনউদ্দিন মাহমুদ।
আইনজীবী আহসানুল করীম পরে কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘নিপুণ আক্তারের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২ ফেব্রুয়ারি সমাজসেবা অধিদপ্তর চিঠি দিয়ে তথাকথিত নির্বাচনী আপিল বোর্ডকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য যে ক্ষমতা দিয়েছিল, সেই চিঠির কার্যকারিতা স্থগিত করেছেন আদালত। সেই সঙ্গে ওই চিঠি পাওয়ার পর আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিল এবং নিপুণ আক্তারকে জয়ী ঘোষণা করে যে সিদ্ধান্ত দিয়েছিলেন, সেই সিদ্ধান্তও স্থগিত করা হয়েছে। এ ছাড়া চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে জায়েদ খানের দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না করতেও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। ’ আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি রুল শুনানির তারিখ রাখা হয়েছে বলে জানান এই আইনজীবী।
প্রসঙ্গত, গত ২৮ জানুয়ারি ভোটগ্রহণের পরদিন ঘোষিত ফলে সভাপতি পদে ইলিয়াস কাঞ্চন এবং সাধারণ সম্পাদক পদে জায়েদকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। ফলে দেখা যায়, নিপুণ আক্তারের চেয়ে ১৩ ভোট বেশি পেয়েছেন জায়েদ খান।
নির্বাচনের সময়ই জায়েদের বিরুদ্ধে টাকা দিয়ে ভোট কেনার অভিযোগ করেছিলেন নিপুণ। এতে সাড়া না পেয়ে তিনি আপিল করেন। তাঁর আপিলে ভোটের পুনর্গণনা হওয়ার পর ফল একই থাকে। এরপর নিপুণ সংবাদ সম্মেলন করে জায়েদ খানের বিরুদ্ধে ভোট কেনার অভিযোগ তোলেন। পরে নির্বাচনী আপিল বোর্ডে জায়েদ খান ও কার্যকরী পরিষদের সদস্য চুন্নুর পদ বাতিলের আবেদন করেন তিনি।
তাঁর আবেদনে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে করণীয় জানতে আবেদন করেন আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান সোহানুর রহমান সোহান। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২ ফেব্রুয়ারি সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক চিঠিতে আপিল বোর্ডকেই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হলে গত শনিবার দুই পক্ষকে নিয়ে বসার উদ্যোগ নেন সোহান।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।