জিম ক্যারি হলিউডের আলোচিত-জনপ্রিয় কৌতুক অভিনেতা। অসাধারণ অভিনয় এবং প্রতিভা দিয়ে মন জয় করেছেন সারা বিশ্বের দর্শকদের। তার অভিনয় থেকে হাসে নাই এমন মানুষ খুব কমই পাওয়া যাবে। ৬০ বছর বয়সী এ অভিনেতা ব্যক্তি জীবনেও বেশ রসিক।
বর্তমানে সফল ও ধনী হলেও একসময় তরুণ এ কমেডিয়ান ভেঙে পড়েছিলেন। তার পরও নিজের ওপর বিশ্বাস রেখেছিলেন তিনি। ভালো কিছু করলে পরের দিন দর্শকদের আরো ভালো কিছু উপহার দিতে চেষ্টা করতেন ক্যারি।
১৯৯৭ সালে বিখ্যাত মার্কিন উপস্থাপিকা অপরাহ উইনফ্রের সঙ্গে আলাপচারিতায় ক্যারি জানান, লস অ্যাঞ্জেলেস শহরের রাস্তায় গাড়ি চালাতে চালাতে প্রকৃতি দেখে ভাবতেন কাজ করার অনেক জিনিস রয়েছে। তখনো ক্যারির পকেটে যথেষ্ট টাকা ছিল না। এক রাতে তিনি নিজের একটি চেক লিখেছিলেন। আর সেই চেকে একটা টাকার পরিমাণ লিখে নিজেকে বলেছিলেন একদিন অবশ্যই এত টাকার মালিক হবেন তিনি।
জিম ক্যারি বলেন, চেকে আমি অর্থের পরিমাণ ১ কোটি ডলার লিখেছিলাম। অভিনয় করে তিন-পাঁচ বছরের মধ্যে এ অর্থ উপার্জন করব বলেও নিজেকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম। সেই তারিখ ঠিক করেছিলাম ১৯৯৫ সালের থ্যাংকসগিভিং ডেতে। চেকটি রেখে দিয়েছিলাম আমার মানিব্যাগে। ম্যানিব্যাগ বারবার নষ্ট হয়েছে, কিন্তু চেকটি আমি যত্ন করেই রেখে দিয়েছিলাম।
অবিশ্বাস্যভাবে, ’৯৫ সালের সেই নির্দিষ্ট দিনের আগেই ক্যারির উপার্জিত অর্থের পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ১ কোটি ডলার। সম্প্রতি সেলিব্রিটি নেট ওর্থ জানিয়েছে, বর্তমানে এ অভিনেতার মোট সম্পদের পরিমাণ ১৮ কোটি ডলার। লায়ার লায়ার, ব্রুস অলমাইটির মতো জনপ্রিয় সিনেমার আয় ছাড়াও প্রযোজক হিসেবে বিনিয়োগ করেও তিনি বিপুল অর্থ উপার্জন করেছেন।
ক্যারির এ উত্থানের গল্প শুরু হয়েছিল ওয়েনস ব্রাদার্সের ১৯৯০ সালের স্কেচ শো ‘ইন লিভিং কালার’ থেকে। এ অনুষ্ঠানে ক্যারি সাধারণ একজন হিসেবে যোগ দিলেও পরবর্তী সময়ে ভক্তদের প্রিয় ব্যক্তি হয়ে ওঠেন। অল্পদিনে তার অভিনয়ে মুগ্ধ হন চলচ্চিত্র নির্মাতা টম শ্যাডিয়াকের। এর পরেই ১৯৯৪ সালে এ নির্মাতার কমেডি ‘এইচ ভেনচুরা: পেট ডিটেকভিট’-এ অভিনয়ের মাধ্যমে তারকা বনে যান ক্যারি।
ওই বছর ‘দ্য মাস্ক’ ও ‘ডাম্ব অ্যান্ড ডাম্বার’ সিনেমায় অভিনয় করেন। তখন সিনেমা দুটো বক্স অফিসে হিট হয়। ভাগ্যের খেল, পরবর্তী একটি সিনেমা তাকে ১০ মিলিয়ন ডলার দিয়েছিল। আর এটা ঠিক ১৯৯৫ সালের থ্যাংকসগিভিং ডের আগে।
এরপর ‘এইচ ভেনচুরা: হোয়েন নেচার কলস’ ও ‘ব্যাটম্যান ফরএভার’ সিনেমায় অভিনয়ের মাধ্যমে আরো জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন ক্যারি। এ থেকেই হলিউডের সবচেয়ে চাহিদাসম্পন্ন তারকাদের একজনে পরিণত হন।
বিশ্বের অন্যতম ধনী এ অভিনেতাকে সর্বশেষ দেখা গেছে ‘সনিক দ্য হেগহজ’ সিনেমায়। এতে তিনি এক ক্ষ্যাপাটে বিজ্ঞানী রোবোটনিক চরিত্রে অভিনয় করেন। সিনেমায় অভিনয় ছাড়াও আঁকতে পছন্দ করেন ক্যারি। তার অভিনয়ে অনুপ্রাণিত হয়েছেন বিশ্বের অনেক নামকরা কমেডিয়ান।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।