বিনোদন ডেস্ক: বীর মুক্তিযোদ্ধা আকবর হোসেন খান দুলু ওরফে নায়ক ফারুক যদিও চিত্রনায়ক ছিলেন কিন্তু দ্বীনি কাজের ক্ষেত্রে মসজিদ-মাদরাসার দিকে সজাগ দৃষ্টি ছিল তার। তার জীবদ্দশায় যতদিন জীবিত ছিলেন ততদিন মসজিদ মাদরাসার খোঁজ-খবর রেখেছিলেন।
বুধবার (১৭ মে) দুপুরে চিত্রনায়ক ফারুক সম্পর্কে স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে তার বাবা আজগার হোসেন পাঠানের ওয়াকফ করা জমিতে প্রতিষ্ঠিত সোম মোজাদ্দেদিয়া সুন্নিয়া দাখিল মাদরাসার সুপার এএইচএম কাওছার আলম এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ফারুক সাহেব ঐ মাদরাসার জন্মলগ্ন থেকে কাদরিয়া সিসতিয়া লিল্লাহ বডিংয়ে ছিলেন। আর ঐ লিল্লাহ বডিংয়ের সব ব্যয়ভার তিনি ব্যক্তিগতভাবে বহন করতেন। এছাড়া মাদরাসায় যারা এতিম থাকতো, তাদের খাওয়া-দাওয়া, কাপড়-চোপড়সহ খোঁজ-খবর রাখতেন।
মাদরাসার সুপার আরো বলেন, তিনি যখনই বাড়িতে আসতেন মাদরাসার খোজঁ-খবর নিতেন। এছাড়া মাদরাসার পাশের বাজারে একটি জমি আছে ৩০ শতাংশ, সেটা তার বাবা আজগার হোসেন পাঠান মাদরাসার নামে ওয়াকফ করে দিয়েছেন। সেটার আয় দিয়েই মাদরাসা চলছে।
উল্লেখ্য, নায়ক ফারুক গত ১৫ মে স্থানীয় সময় সকাল ১০টার দিকে সিঙ্গাপুর মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। তিনি স্ত্রী ফারজানা পাঠান, কন্যা ফারিহা তাবাসসুম পাঠান ও পুত্র রওশন হোসেন, আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধবসহ অসংখ্যা ভক্ত রেখে গেছেন।
মঙ্গলবার (১৬ মে) রাত ৯টার দিকে সোমটিওরী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ সংলগ্ন ঈদগাহ ময়দানে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা শেষে সাড়ে ৯টায় ওই মসজিদ সংলগ্ন পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। এর আগে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে নায়ক, এমপি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আকবর হোসেন পাঠান দুলু ওরফে ফারুকের পৈতৃক ভিটায় তার মরদেহ আনা হয়। সেখানে এলাকার সব শ্রেণি-পেশার মানুষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।