বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : হাতের তিনটি আঙ্গুলের এই ভঙ্গিটি আপনার কাছে কী অর্থ বহন করে? এর মানে কি ‘অবিশ্বাস্য’? নাকি কাউকে চুপ থাকতে বলা? অথবা দক্ষিণ কোরিয়ার জনপ্রিয় গানের ধারা ‘কে-পপ’ তারকাদের সেই কিউট ভঙ্গিমা?
এই ইমোজির নাম ‘পিঞ্চড ফিংগার’ বা তিন আঙ্গুলে কিছু ধরার ভঙ্গি।
নতুন ইমোজির অনুমোদন দেয় যারা, সেই ইউনিকোড কনসর্টিয়াম সম্প্রতি এটি প্রকাশ করে। তাদের মতে, এর মানে হচ্ছে, ‘আপনি কী চান?’ ইটালিতে এরকম ভঙ্গির মানে সেটাই।
কিন্তু এটির প্রকৃত অর্থ আসলে কী, তা নির্ভর করছে আপনি বিশ্বের কোন দেশে আছেন তার ওপর। জানুয়ারি মাসে এই ইমোজি আসার পর থেকে তাই এটির নানা অর্থ করছেন লোকজন।
ইমোজিটি অনুমোদনের জন্য যে ১৪ পৃষ্ঠার প্রস্তাব রাখা হয়েছিল, তাতে ইটালিয়ান সাংস্কৃতিক রীতির সঙ্গে এর যোগাযোগের কথা উল্লেখ ছিল। ইটালিয়ানরা নাকি কথা বলে তাদের হাত দিয়ে! ইটালিতে তিন আঙ্গুলের এই ভঙ্গির মানে হচ্ছে, ‘তুমি কি চাও?’
তবে ইমোজিটি যারা তৈরি করেছেন, তারা আশা করেন যে এটি কেবল ইটালিতে নয়, এটি ব্যবহৃত হবে আরও অনেক দেশে, বলতে গেলে গোটা বিশ্ব জুড়ে। কারণ ইটালিয়ান সংস্কৃতি এখন বিশ্বের আরও অনেক দেশে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।
তিন আঙ্গুলের এরকম ভঙ্গি বিশ্বের প্রায় সব দেশের মানুষই করে থাকেন। কিন্তু তাদের অর্থ ইটালিয়ানদের থেকে একেবারেই ভিন্ন কিছু।
যেমন ধরা যাক ইসরায়েলের কথা। সেখানে কেউ যখন কারও প্রতি খুব রেগে যান, তখন নাকি সাধারণত লোকে এরকম ভঙ্গি দেখান। এর মানে হচ্ছে তোমার ঘোড়াগুলো সামলাও! বলছেন ইসরায়েলি সাংবাদিক কিম যেটার। তবে অন্য মানেও আছে। যেমন এর মানে হতে পারে, ‘এক মিনিট দাঁড়াও’ বা ‘ধৈর্য ধরো’।
নাইজেরিয়ায় এই ইমোজির অর্থ নাকি ‘জিবাস জিবোস’- ঘুরে-ফিরে একই তর্ক-বিতর্ক। ভারতে আবার এর অর্থ একেবারেই আলাদা- কাউকে এই ভঙ্গি করে জানতে চাওয়া হয় তিনি ক্ষুধার্ত কীনা।
আরব বিশ্বে গিয়ে এই ইমোজির অর্থ আবার একেবারেই পাল্টে যাচ্ছে। সেখানে এর মানে হতে পারে, আস্তে, অপেক্ষা করো, শান্ত হও বা ধৈর্য ধরো। কিংবা এটা হতে পারে এক ধরনের হুমকিও- কি ঘটবে দেখতে চাও?
একজন দাবি করছেন এটির মানে হচ্ছে কোন ছুরি-চামচ ছাড়া খাওয়া। আরেকজন বলছেন, এই তিন আঙ্গুলের ভঙ্গিটিকে উল্টো দিকে ঘুরিয়ে দিলে মনে হবে ‘এক চিমটি লবণ।’
তবে ইমোজিটি দেখা মাত্র অনেকেরই মনে পড়বে কে-পপ তারকা ইয়ুরির নাম। এই জনপ্রিয় তারকা ডাম্পলিং এর আদলে তার তিন আঙ্গুল দিয়ে এই ভঙ্গি করেন। এটি নাকি তার ভক্তদের যে তিনি ভালোবাসেন, সেটার প্রকাশ।
একটি ইমোজি তৈরি করার পর এটি ইউনিকোডে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য বেশ বিস্তারিত লিখে আবেদন করতে হয়। সব ইলেকট্রনিক ডিভাইসের ইমোজির অনুমোদন দেয় ইউনিকোড। তাদের অনুমোদন পাওয়ার পর সব ইলেকট্রনিক ডিভাইসে এই ইমোজি পাওয়া যায়। সূত্র : বিবিসি বাংলা
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।