জুমবাংলা ডেস্ক : এডিস মশা নিধনে বিজ্ঞানীদের সফল পরীক্ষা এখনো বাস্তবায়ন হচ্ছে বিভিন্ন দেশে। ভারত, শ্রীলংকা, ইন্দোনেশিয়া ও চীনসহ আশেপাশের দেশগুলোতে কাজে এসেছে অভিনব এই কৌশল। ডেঙ্গু ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে মশার গায়ে ব্যাকটেরিয়া ব্যবহার কিংবা মশা দিয়ে মশা মারার খরচও নাগালের মধ্যে।
এডিস মশা কামড় দিলেই হচ্ছে প্রাণঘাতী ডেঙ্গু। আফ্রিকায় জন্ম নেওয়া এডিস মশা এখন ছড়িয়ে পড়ছে গ্রীষ্মমণ্ডলীয় এলাকায়। সেই সাথে মশার ঔষধের বিরুদ্ধে বেড়েছে এর প্রতিরোধ ক্ষমতা। মারাত্মক হয়ে ওঠা এই মশা নিধনের জন্য মাঠে নেমেছে বিজ্ঞানীরা।
প্রায় পনেরো বছরের গবেষণায় ওয়ার্ল্ড মাস্কিটও প্রোগ্রামের বিজ্ঞানীরা বের করেন উবাকিয়া নামের একটি পদ্ধতি। যেখানে ব্যবহার করা হয় উবাকিয়া ব্যাকটেরিয়া। বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে দেখেছেন এই ব্যাকটেরিয়া থাকলে ডেঙ্গু ভাইরাস বাড়তে পারে না। উবাকিয়া ব্যাকটেরিয়া শরীরে থাকা মশার সাথে অন্য মশার প্রজননে যে মশা জন্ম নেয় তার দেহে থাকে একই ব্যাকটেরিয়া। এতে প্রতিরোধ হয় ডেঙ্গু সংক্রমণ।
সপ্তাহে একবার করে ১০ সপ্তাহ ধরে পরিবেশে এসব মশা ছাড়ায় কয়েক মাসে। এতে উবাকিয়া পদ্ধতি শতভাগ সাফল্য পায়। ২০১১ সালে অস্ট্রেলিয়ায় এই পরীক্ষার পর ভারত, শ্রীলংকা, ইন্দোনেশিয়াসহ ১২টি দেশেও মিলেছে সফলতা। অস্ট্রেলিয়ায় এই পদ্ধতিতে ডেঙ্গু দমনে অনেক খরচ হয়। জনপ্রতি প্রায় ১১০০ টাকা। তবে গণবসতি হওয়ায় ব্রাজিল ও ইন্দোনেশিয়ায় তা কমে দাঁড়ায় ২৫৩ টাকা।
বিজ্ঞানীদের সফল আরেকটি পদ্ধতি জেনেটিক্যালি মোডিফাইড বন্ধু মশা বা জিএম মশা। এই পদ্ধতিতে জিএম ইঞ্জিনিয়ারিং করে মশার কোষে জেনেটিক পরিবর্তন আনা হয়। যার ফলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম বেঁচে থাকতে পারে না। প্রকৃতিতে ছেড়ে দেয়া এই জিএম মশার সাথে নারী এডিস মশার প্রজননে যে সব মশার জন্ম হয় সে গুলো দ্রুতই মরে যায়। এতে কমে যায় এডিস মশা।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবরেটরীতে ১৬ বছরের গবেষণায় এ ধরনের মশা উৎপাদনে সফল হন বৃটেনের অক্সিটেক কোম্পানির বিজ্ঞানীরা। ব্রাজিলে এই পদ্ধতির সফলতা ছিলো ৯০ শতাংশ। এটা ব্যবহারে মাথাপিছু খরচ হয় প্রায় ৮৪৫ টাকা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।