লাইফস্টাইল ডেস্ক: মাছ খেতে অনেকেরই অনীহা আছে, বিশেষ করে বাচ্চারা তো একদমই মাছ খেতে চায় না! ভুনা বা ভাজি ছাড়াও মাছ দিয়ে অনেকরকম মজাদার আইটেম তৈরি করা যায়। তেমনই একটি স্ন্যাকস হচ্ছে মাছের কাটলেট! মাছ দিয়ে কম সময়ে বাসাতেই হেলদি ও টেস্টি কাটলেটটি বানিয়ে নেয়া যায়। যারা মাছ খেতে একদমই পছন্দ করে না, তারাও কিন্তু এটা মজা করে খাবে। তাহলে জেনে নিন, মাছের কাটলেট তৈরির সবচেয়ে সহজ রেসিপিটি-
উপকরণ: বড় মাছের পেটি ছয় পিস, লেবুর রস এক চা চামচ, সেদ্ধ করে রাখা আলু একটি, সয়াসস এক টেবিল চামচ, ধনিয়া পাতা দুই চা চামচ, গোলমরিচের গুঁড়া এক চা চামচ, লবণ স্বাদ মতো, টমেটো কেচাপ দুই চা চামচ, ডিম একটি, কর্ণফ্লাওয়ার এক টেবিল চামচ,
চাট মশলা আধা চা চামচ, কালোজিরা আধা চা চামচ, তেল ভাজার জন্য।
প্রণালী: এই রেসিপিতে রুই, কাতলা, ভেটকি, পাঙ্গাশ কিংবা যে কোনো বড় মাছের পেটি ব্যবহার করা যাবে। প্রথমে চুলার উপর একটি প্যান বসিয়ে তাতে অল্প পানি দিয়ে মাছের টুকরাগুলো দিয়ে দিন। সঙ্গে একটু লবণও দিয়ে দিতে হবে। কিছুক্ষণের মধ্যে পানি টেনে শুকিয়ে যাবে এবং সেই সঙ্গে মাছও সিদ্ধ হয়ে যাবে। এরপর মাছগুলোর তেলের অংশ বাদ দিয়ে ও কাঁটা বেছে ম্যাশ বা ভর্তা করে রাখুন।
এবার আলাদা একটি পাত্রে সিদ্ধ করে রাখা আলু, ধনিয়া পাতা, লবণ, সয়াসস, কালোজিরা, চাট মশলা, মাছ ভর্তা, টমেটো কেচাপ, গোলমরিচের গুঁড়া ও লেবুর রস দিয়ে ভালোভাবে মাখিয়ে নিন। তারপর ডিম ফেটিয়ে তাতে কর্ণফ্লাওয়ার গুলিয়ে নিয়ে মিশ্রণটিতে ঢেলে দিন। সব উপকরণ একসঙ্গে চটকিয়ে নিতে হবে। হাতের তালুতে একটু তেল মেখে মাছের এই মিশ্রণ থেকে একটু করে নিয়ে কাটলেটের আকারে শেইপ দিয়ে শুকনো কর্ণফ্লাওয়ারে গড়িয়ে নিন। আপনার পছন্দ অনুযায়ী ছোট বা মাঝারী আকারে কাটলেটের শেইপ করে নিবেন। অন্যদিকে একটি প্যানে তেল গরম করতে দিন। এই কাটলেটটি আপনি ডীপফ্রাই করতে পারেন অর্থাৎ ডুবো তেলে ভাজতে পারেন। আবার অল্প তেল দিয়েও ফ্রাই করে নিতে পারেন। তেল গরম হয়ে গেলে মাছের কাটলেটগুলো একটি একটি করে প্যানে ছাড়ুন। একপাশ ভাজা হয়ে গেলে সাবধানে উলটিয়ে দিন। যেহেতু মাছ আগেই সিদ্ধ করে নেয়া হয়েছে, তাই খুব বেশি ভাজার প্রয়োজন হয় না! গোল্ডেন কালার হয়ে গেলেই তেল থেকে নামিয়ে কিচেন টিস্যুতে রাখুন। এতে এক্সট্রা তেল শুষে নেবে। ব্যস, গরম গরম মাছের কাটলেট রেডি!
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।