হাসিখুশি থাকার সবচেয়ে ভালো দিক হলো, আপনার দেখাদেখি আরও অনেকের মুখেই হাসি ফুটে উঠবে। একজন ইতিবাচক মানুষের প্রভাব কিন্তু বেশ বড়। তাকে দেখে অনেকেই তার মতো হতে চায়। হাসি মানেই ইতিবাচকতা। জীবনে নানা প্রতিকূল পরিস্থিতি আসবেই। সবকিছু ভুলে আপনাকে হাসতে জানতে হবে। হাসির রয়েছে অনেক উপকারিতা। চলুন জেনে নেওয়া যাক-
মানসিক চাপ দূর করে
মানসিক চাপ এখন আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অংশ হয়ে গেছে যেন। নানা বিষয় নিয়ে দুশ্চিন্তা লেগেই থাকে। কিন্তু এগুলো নিয়ে পড়ে থাকলে চলবে না। বরং সবকিছু ভুলে আপনাকে হাসতে জানতে হবে। হাসতে শিখে গেলে অনেক কঠিন পরিস্থিতিও সামলে নেওয়া সম্ভব। তখন দেখবেন মানসিক চাপ অনেকটাই কমে গেছে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
সুস্থ থাকার ক্ষেত্রে সবচেয়ে জরুরি বিষয়ের একটি হলো রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী থাকা। আপনি যদি হাসিখুশি থাকেন তবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে সহজেই। যারা সব সময় হাসেন তাদের শরীর তুলনামূলক বেশি সুস্থ থাকে। তাই আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে চাইলে এখন থেকে হাসিখুশি থাকতে হবে।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে
সব সময় হাসি মুখে থাকলে তা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে মূখ্য ভূমিকা রাখতে পারে। কারণ আমাদের মানসিক অবস্থার সঙ্গে রক্তচাপের যথেষ্ট সম্পর্ক রয়েছে। মানসিক চাপ না থাকলে স্বাভাবিকভাবেই আমাদের স্নায়ু শান্ত এবং শীতল হয়ে যায়। যে কারণে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। তাই শরীর সুস্থ রাখার জন্যও আপনাকে হাসিখুশি থাকতে হবে।
ব্যথা কমাতে কাজ করে
আমরা যখন হাসি তখন আমাদের শরীর এন্ডোরফিন এবং সেরোটোনিন নামক দুটি হরমোন নিঃসরণ করে। এই দুই হরমোন সঠিকভাবে নিঃসরণ হলে আমাদের শরীরের যাবতীয় ব্যথা অনেকটাই কমে যায়। এর ফলে সুস্থ হওয়া খুব সহজ হয়ে যায়। তাই শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার জন্য হাসিখুশি থাকা জরুরি।
![](https://inews.zoombangla.com/wp-content/uploads/2024/03/34-5.jpg)
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।