জুমবাংলা ডেস্ক : প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক আয়োজিত ‘জয়েন্ট একশন ফর নিউট্রিশন আউটকাম’- জানো প্রকল্পের জাতীয় পর্যায়ের লার্নিং শেয়ারিং কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার (১০ মার্চ) রাজধানীর কুর্মিটোলায় রেডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেনে কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।
ইউরোপীয়ান ইউনিয়নের অর্থায়নে ও অস্ট্রিয়ান ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেশনের সহ-অর্থায়নে কেয়ার বাংলাদেশ, প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ ও ইকো স্যোশাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ইএসডিও) পাঁচ বছর যাবত প্রকল্পটি বাস্তবায়নে যৌথভাবে কাজ করছে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, অধ্যাপক ড. একিউএম শফিউল আজম, পরিচালক-পরিকল্পনা ও উন্নয়ন উইং, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর, ড. মোহাম্মদ মাহাবুবুর রহমান, ডিজি (ভারপ্রাপ্ত), বাংলাদেশ জাতীয় পুষ্টি পরিষদ কার্যালয়, প্রফেসর মোঃ মশিউজ্জামান, সদস্য, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি), মার্গেরিটা ক্যাপালবি, প্রোগ্রাম ম্যানেজার, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ডাঃ মোঃ শহীদ উজ জামান, নির্বাহী পরিচালক, ইএসডিও, এবং শামীম জাহান, ডেপুটি কান্ট্রি ডিরেক্টর, কেয়ার বাংলাদেশ।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ এর পলিসি, এডভোক্যাসি, ইনফ্লুয়েন্সিনং এন্ড ক্যাম্পেইন ডিরেক্টর নিশাত সুলতানা।
প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ এর সেন্ট্রাল এন্ড নর্দান রিজিওনের প্রধান আশিক বিল্লাহ চলতি বছরে শেষ হতে যাওয়া এ প্রকল্পটির উল্লেখযোগ্য অবদান, ফলাফল, চ্যালেঞ্জ সর্ম্পকে অংশীজনদের অবগত করার পাশাপাশি মত বিনিময় ও আলোচনা করেন।
অনুষ্ঠানে সভাপ্রধান ছিলেন প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ এর কান্ট্রি ডিরেক্টর কবিতা বোস।
কবিতা বোস তার বক্তব্যে বলেন, ‘প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ জানো প্রকল্পের মাধ্যমে কিশোর কিশোরীদের পুষ্টি নিশ্চিতকরণের বিষয়টি জেন্ডার সমতার দৃষ্টিকোণ থেকে মূল্যায়ন করেছে। একটিমেয়ে শিশু শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সমাজে যেসব বৈষম্যের শিকার হয় তা উল্লেখ করে তিনি বলেন শুরু থেকেই জেন্ডার বৈষম্য রোধ করার মাধ্যমে তাদের উন্নয়নের মূল ধারায় নিয়ে আসতে আমাদের দীর্ঘমেয়াদী কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। এক্ষেত্রে তিনি মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর, বাংলাদেশ পুষ্টি পরিষদ, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড এর সক্রিয় সহযোগীতা কামনা করেন।’
অধ্যাপক ড. একিউএম শফিউল আজম বলেন, “সৃজনশীল উপায়ে জ্ঞান, দক্ষতা, অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে শিক্ষা ব্যবস্থাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। জানো প্রকল্পে যেমন শিক্ষা বিভাগ, স্বাস্থ্য বিভাগ, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড, বেসরকারী সংস্থা একত্রিত হয়ে সম্বন্বিত ভাবে কাজ করেছে এইভাবে এগিয়ে গেলে সমাজে সার্বিক একটি ইতিবাচক পরিবর্তন আনা সম্ভব”।
স্কুল পর্যায়ে GEMS (Gender Equity Movement in School) ইন্টারভেনশন শীর্ষক প্যানেল ডিসকাশন সংঘটিত হয়। সেখানে শিক্ষার্থীদের তথাকথিত ধ্যান ধারণা থেকে বের হয়ে সৃজনশীল চিন্তা করার জন্য বলা হয়েছে। এই লক্ষ্যে নতুন প্রণীত শিক্ষাক্রমে জেমস সেশনের বিষয়গুলি অন্তর্ভূক্ত করার চেষ্টা করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, জয়েন্ট একশন ফর নিউট্রিশন আউটকাম–জানো প্রকল্পটি পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশু, গর্ভবতী ও স্তন্যদানকারী মা এবং কিশোর কিশোরীদের স্বাস্থ্য ও পুষ্টি উন্নয়নের জন্য রংপুর ও নীলফামারী জেলার ৭ টি উপজেলায় কাজ করছে।
জানো প্রকল্পটি মূলতঃ মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর, বাংলাদেশ জাতীয় পুষ্টি পরিষদ, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় সহ সরকারের প্রায় ২২ টি দপ্তর ও মন্ত্রণালয়ের সাথে সমন্বয় সাধনের মাধ্যমে দ্বিতীয় জাতীয় পুষ্টি কর্ম পরিকল্পনা বাস্তবায়নে একটি সহায়ক প্রকল্প হিসেবে কাজ করে আসছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।