নাসার জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের ১৩০০ কোটি বছরের পুরোনো গ্যালাক্সির প্রথম ছবি

প্রায় ১৪০০ কোটি বছর আগে ‘বিগ ব্যাং’ বিস্ফোরণের পর নক্ষত্র ও গ্যালাক্সি তৈরি হয়েছিল। সেই আদি নক্ষত্রপুঞ্জের একটিই ধরা পড়েছে নাসার জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপে।

মহকাশে বিস্ফোরণের ঠিক পর পরই যে নক্ষত্রপুঞ্জ তৈরি হয়েছিল তারই একটি ছবি প্রকাশ করেছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র নাসা। ৪৬০ কোটি বছরের কাছাকাছি সময়কার গ্যালাক্সির ছবি তুলেছে নাসার জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ।

সুপ্রাচীন গ্যালাক্সি নিয়ে হইচই পড়ে গেছে হোয়াইট হাউসে। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, নাসা অভূতপূর্ব কাজ করেছে। যুক্তরাষ্ট্র ও গোটা মানব সভ্যতার জন্য এটি ঐতিহাসিক দিন।

প্রায় ৪৬০ কোটি বছর আগে বিগ ব্যাংয়ের পর কীভাবে এই বিশ্ব তৈরি হয়েছিল সে খবর খুঁজে আনার দায়িত্ব জেমস ওয়েবের। কীভাবে জন্ম-মৃত্যু হয় তারাদের, নক্ষত্রপুঞ্জের জন্ম ইতিহাস, গ্রহদের গোপন কথা, ছায়াপথের ফিসফিসানি সবই জেনে-বুঝে পৃথিবীতে খবর পাঠাবে নাসার দূরবীন। সেই জন্মের পর থেকে মহাকাশে যে ক্রমবর্ধমান বিবর্তন হয়ে চলেছে সেই ধারাকে পর পর সাজিয়ে বিশ্লেষণ করবে জেমস ওয়েব।

প্রায় ১৩০০ কোটি বছর আগের গ্যালাক্সির সন্ধান পেয়েছে নাসার টেলিস্কোপ। সেই ছবি হোয়াইট হাউজে দাঁড়িয়ে প্রকাশ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

জেমস ওয়েব টেলিস্কোপের প্রথম ছবি
জেমস ওয়েব টেলিস্কোপের প্রথম ছবি Credits: NASA, ESA, CSA, and STScI

উল্লেখ্য, প্রায় ১৪০০ কোটি বছর আগে ‘বিগ ব্যাং’ বিস্ফোরণের পরই নক্ষত্র ও গ্যালাক্সি তৈরি হয়েছিল। সেই আদি নক্ষত্রপুঞ্জের একটি ধরা পড়েছে নাসার জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপে। এই ছবি প্রকাশ করে জো বাইডেন বলেন, ‘ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের প্রথম ছবিটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির জন্য একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত উপস্থাপন করেছে। জ্যোতির্বিদ্যা এবং মহাকাশ অনুসন্ধানের জন্য এটি যুগান্তকারী। আমেরিকা এবং সমস্ত মানবজাতির জন্য এটি ঐতিহাসিক এক মুহূর্ত। ১৩ বিলিয়নেরও বেশি পুরোনো…মহাবিশ্বের ইতিহাসে প্রাচীনতম নথিভুক্ত আলো- আমাকে আবার বলতে দিন- ১৩ বিলিয়ন বছর আগের এই আলো।’

আমাদের গ্যালাক্সিতে আছে প্রায় ৮০ হাজার কোটি তারা। আমাদের মিল্কিওয়ের সবচেয়ে কাছের ছায়াপথটি হল অ্যান্ড্রোমিডা। তাতে রয়েছে দেড় লাখ কোটি তারা। তবে নাসার টেলিস্কোপে ধরা পড়া ১৩০০ কোটি বছর পুরোনো এই গ্যালাক্সি আরও বড় বলে জানা গেছে। বিজ্ঞানীদের আশা, এই নতুন তথ্যের সাহায্যে শীঘ্রই বিশ্বের জন্মরহস্য উদঘাটন করা সম্ভব হবে। বাইডেনের হাতে প্রকাশিত এই ওয়েব টেলিস্কোপের প্রথম ছবিটি সাড়া ফেলে দিয়েছে বিজ্ঞানীমহলে।

নাসার নতুন জেমস ওয়েব টেলিস্কোপটিও আগের হাবল টেলিস্কোপ থেকে অনেক বেশি শক্তিশালী বলে জানা গেছে। গত বছর ২৫ ডিসেম্বর জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপটি মহাশূন্যের উদ্দেশে রওনা দেয়। পৃথিবীর কক্ষপথ ছাড়িয়ে বর্তমানে প্রায় ১৫ লক্ষ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে এই টেলিস্কোপটি। টেলিস্কোপের মূল লক্ষ্য দু’টি, ব্রহ্মাণ্ডে জ্বলে ওঠা আদি নক্ষত্রগুলোর ছবি তোলা এবং দূরের গ্রহগুলো প্রাণধারণের উপযোগী কিনা, তা খতিয়ে দেখা।

ফাঁদ পেতে টেংরা মাছ ধরার ভিডিওটি তুমুল ভাইরাল