স্পোর্টস ডেস্ক: টাইগারদের ব্যাটিং পরামর্শকের দায়িত্ব নিতে সপ্তাহখানেক আগে বাংলাদেশে এসেছিলেন জেমি সিডন্স। তবে সাকিব-তামিমদের ব্যাটিং কোচ হিসেবে আগে থেকেই চুক্তিতে থাকা অ্যাশওয়েল প্রিন্স জমানায় সিডন্সের কাজের ক্ষেত্র কী হবে, সেটি নিয়ে একপ্রকার ধোঁয়াশা রয়েই গিয়েছিল। মূলত তাকে ব্যাটিং কোচ করে আনার কথা ভাবা হলেও জাতীয় দলে এই পদটিতে তখন দায়িত্বরত ছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার অ্যাশওয়েল প্রিন্স।
তাই শোনা যাচ্ছিল, সিডন্স ব্যাটিং পরামর্শক পদে কাজ করবেন। জাতীয় দলের ব্যাটিং কোচ প্রিন্স থাকলে সিডন্সকে হাই পারফরম্যান্স, অনূর্ধ্ব-১৯ দল কিংবা অন্য কোনো দায়িত্ব দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছিল।
অবশেষে সব ঝামেলা চুকে গেছে। প্রিন্স পারাবারিক কারণ দেখিয়ে জাতীয় দলের ব্যাটিং কোচের পদ ছেড়ে দিয়েছেন বুধবার। তাই অস্ট্রেলিয়ান সিডন্সই বসছেন এই চেয়ারে।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী আজ দুপুরে বলেন, ‘জেমি সিডন্সকে ব্যাটিং কোচ হিসেবে নিয়োগ দিয়েই এনেছিলাম আমরা। আজ থেকে তিনি জাতীয় দলের সঙ্গে অন্তুর্ভূক্ত হলেন।’
কিন্তু সিডন্সকে যদি ব্যাটিং কোচ হিসেবেই আনা হয়, তবে ধোঁয়াশাটা কেন ছিল? আজ থেকে কেন জাতীয় দলের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্ত হলেন, আগেই তো ঘোষণাটা দেওয়া যেতো!
আসলে বাধাটা ছিল চুক্তির। বিসিবি আগে থেকেই ব্যাটিং কোচ প্রিন্সের ব্যাপারে সন্তুষ্ট ছিল না। কিন্তু তার সঙ্গে চুক্তি তো রয়েই গিয়েছিল। তাই বিদায়ও বলতে পারছিল না।
অন্যদিকে জেমি সিডন্স পরীক্ষিত কোচ। ২০০৭ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত তিনি হেড কোচ থাকার সময়ই সাকিব-তামিম-রিয়াদ-মুশফিকদের ব্যাটিংয়ে চোখে পড়ার মতো উন্নতি হয়।
যেহেতু প্রিন্স ব্যাটিং কোচের পদটি ধরে ছিলেন, তাই আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দিতে পারছিল না বিসিবি। কেননা গতকাল পর্যন্তও প্রিন্সের চুক্তির ব্যাপারটি চুকেবুকে যায়নি।
অবশেষে প্রিন্স নিজে থেকেই সরে গেছেন। তাই সিডন্সকে ব্যাটিং কোচ করার পথে আর কোনো বাধা নেই। আনুষ্ঠানিকভাবে এই দায়িত্বে জাতীয় দলের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন অস্ট্রেলিয়ান কোচ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।