জুমবাংলা ডেস্ক : বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে মো. জাভেদ নামে এক কয়েদিকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৬৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাহফুজুর রহমানের আদালতে মামলার আবেদন করেন নিহতের খালাতো ভাই ও ঘটনার সময় কারাগারে আহত কয়েদি শিকদার লিটন।
আদালত বাদীর জবানবন্দি নিয়ে আগামী পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে ভুক্তভোগী মারা গেছেন কি না ও এই ঘটনায় কোনো মামলা দায়ের হয়েছে কি না এ বিষয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করতে কেরানীগঞ্জ মডেল থানাকে নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গত ৫ আগস্ট দুপুর ১২টার দিকে কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে থাকা কয়েদিরা আন্দোলন শুরু করেন। এ সময় এজাহারনামীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা সারাদেশের মতো দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে কয়েদিদের ওপর গুলিবর্ষণ করেন। গুলিবর্ষণে অনেক কয়েদি আহত হন এবং মো. জাভেদ নামে একজন কেন্দ্রীয় কারাগারের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এ ঘটনায় কারাগারে থাকা নিহতের খালাতো ভাই সাংবাদিক শিকদার লিটন বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।
পদ্মা সেতু দুর্নীতি ষড়যন্ত্র মামলা পুনরায় তদন্তের সিদ্ধান্ত দুদকের
২০১৯ সালে আলোচিত ফরিদপুরে ২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা পাচার চক্রের মূলহোতা শেখ হাসিনার বেয়াই এবং সাবেক মন্ত্রী খন্দকার মোশারফ হোসেনের সহযোগী ও কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের সহসভাপতি আরিফুর রহমান দোলনের বিরুদ্ধে নিউজ করেন সাংবাদিক লিটন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বাদীর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলা দিয়ে ২০২০ সালের ২৮ অক্টোবর কারাগারে পাঠানো হয়। গত ৫ আগস্টে গুলিবর্ষণে তিনিও আহত হন বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।