Close Menu
Bangla news
    Facebook X (Twitter) Instagram
    Bangla news
    • প্রচ্ছদ
    • জাতীয়
    • অর্থনীতি
    • আন্তর্জাতিক
    • রাজনীতি
    • বিনোদন
    • খেলাধুলা
    • শিক্ষা
    • আরও
      • লাইফস্টাইল
      • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
      • বিভাগীয় সংবাদ
      • স্বাস্থ্য
      • অন্যরকম খবর
      • অপরাধ-দুর্নীতি
      • পজিটিভ বাংলাদেশ
      • আইন-আদালত
      • ট্র্যাভেল
      • প্রশ্ন ও উত্তর
      • প্রবাসী খবর
      • আজকের রাশিফল
      • মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার
      • ইতিহাস
      • ক্যাম্পাস
      • ক্যারিয়ার ভাবনা
      • Jobs
      • লাইফ হ্যাকস
      • জমিজমা সংক্রান্ত
    • English
    Bangla news
    Home জেল হত্যার পর পাঁচ বছর দেশে আসতে পারিনি : এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন
    জাতীয়

    জেল হত্যার পর পাঁচ বছর দেশে আসতে পারিনি : এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন

    Mohammad Al AminJanuary 30, 20216 Mins Read
    Advertisement

    জুমবাংলা ডেস্ক: ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা হয়৷ বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর ধরে নিয়ে জেলে পুরে হত্যা করা চার নেতার একজন এ এইচ এম কামরুজ্জামান৷ খবর ডয়চে ভেলের।

    প্রয়াত নেতার বড় ছেলে রাজশাহীর মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন কথা বলেছেন জেল হত্যা এবং দেশের জেলগুলোর বর্তমান অবস্থা নিয়ে।

    আপনি, আপনার পরিবারও তো সেদিনের জঘন্যতম বর্বরতার শিকার৷ আপনার বাবা, বাংলাদেশের প্রথম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও স্বাধীনতা যুদ্ধের অন্যতম সংগঠক আবুল হাসনাত মোহাম্মদ কামরুজ্জামানসহ চার জাতীয় নেতাকে কেন্দ্রীয় কারাগারে হত্যা করা হয়৷ বাবাকে হারানোর খবর কিভাবে পেয়েছিলেন সেদিন?

    এমন প্রশ্নের জবাবে এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, আসলে ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর যখন হত্যাকাণ্ডটি হয়, তার অনেক আগে থেকেই, ১৯৭২ সাল থেকে আমি এবং আমার ছোট ভাই ভারতের কলকাতার কাছে একটি মিশনারী স্কুলে পড়তাম৷ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট যখন জাতির জনক পরিবারের অনেককে নিয়েই হত্যাকাণ্ডের শিকার হলেন, তখন আমরা ওখান থেকেই খবরটি পেয়েছি৷ এরপর ৩ নভেম্বর যখন আমার বাবাসহ জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা হয় সে খবরও আমরা ওখান থেকেই পেয়েছি৷

    বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা এবং তার তিন মাসেরও কম সময়ের মধ্যে কারাগারে নিয়ে জাতীয় চার নেতাকে হত্যার পর সংবাদমাধ্যমে নিহতদের স্মরণ করা, নিহতদের স্বজনদের কথা প্রচার করা যায়নি৷ ওই অধ্যায়ের কথা প্রথমে কি অ্যান্থনি মাসকারেনহাসের ‘বাংলাদেশ আ লিগেসি অব ব্লাড’ গ্রন্থেই প্রথম তুলে ধরা হয়েছিল?

    মি. লিটন বলেন, পুস্তক আকারে বা সাক্ষাৎকার হিসেবে সেখান থেকেই প্রথম প্রকাশ করা হয়৷ তবে আমরা খবরগুলো পেয়েছিলাম কলকাতা বা ভারতের বিখ্যাত সব পত্রিকা যেমন আনন্দবাজার, অমৃতবাজার, যুগান্তর বা হিন্দুস্থান টাইমস থেকেই৷

    বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর রাষ্ট্রপতি হওয়া খন্দকার মোশতাক আহমেদ এবং বঙ্গবন্ধুর দুই খুনি কর্নেল (অব.) সৈয়দ ফারুক রহমান এবং লে. কর্নেল (অব.) খন্দকার আব্দুর রশীদের পরিকল্পনা অনুযায়ী জেলখানায় জাতীয় চার নেতাকে হত্যার কথা উঠে এসেছে গোলাম মুরশিদের লেখা ‘মুক্তিযুদ্ধ ও তারপর’ গ্রন্থে৷ তো জেল হত্যার পরিকল্পনাকারীর শাসনামল এবং তারপরের বৈরি সময়ে আপনার পরিবার কিভাবে অস্তিত্ব রক্ষা করেছে? শাসকদের কোপানলে পড়তে হয়েছিল?

    এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, আমরা দুই ভাই তো তখন ভারতে ছিলাম৷ আমরা ৫ বছর দেশে ফিরতে পারিনি৷ ১৭৭৫ সাল থেকে ১৯৮০ সাল পর্যন্ত৷ তখন অনেকেই আমাদের বলেছেন, ফেরাটা ঠিক হবে না৷ আর আমার মা ও চার বোন তখন ঢাকা থেকে রাজশাহীতে ফিরে আসেন৷ আমার বাবার মৃতদেহও রাজশাহীতে নিয়ে এসে দাফন করা হয়৷ এই পটবদলের সময় বিএনপির আগে বিভিন্ন নাম দিয়ে যে দলগুলো হচ্ছিল, তারা আমাদের পরিবারের উপর নিদারুণ মানসিক অত্যাচার করেছে৷ কটু কথা বলা, বাড়িতে আমার বোনরা ছিল, আমরা দুই ভাই ছিলাম না৷ সেখানে তাদের যাতায়াতে নানা ধরনের বাজে উক্তি করা, মাঝে মধ্যেই আমাদের বাড়িতে বিভিন্ন দ্রব্যাদি নিক্ষেপ করা, এ সমস্ত অসামাজিক কাজ তারা করে গেছে৷ এরপর জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে যখন বিএনপি হয়, তখন দেখলাম তারাই রাজশাহীতে বিএনপির সম্মুখ সারিতে আছেন৷ ওই সময়গুলো আমাদের খুব খারাপ গেছে৷ আমাদের পরিবারকে সুযোগ-সুবিধা দেওয়া তো দূরের কথা, আমার বোনদের স্কুল-কলেজে যাওয়াও খুব অসুবিধাজনক হয়ে পড়েছিল৷ বলা যেতে পারে, স্বাধীনতা যুদ্ধে নেতৃত্ব দেওয়াই যেন আমার পিতার একটা অপরাধ ছিল! আমাদের মতো অন্য পরিবারগুলোও একই রকম কষ্ট পেয়েছে৷ সেই কষ্টের দিনগুলোর কথা মনে হলে আমার অনেক খারাপ লাগে৷ আমার মা অনেক কষ্ট নিয়ে, বেদনা নিয়ে দীর্ঘদিন বেঁচে ছিলেন৷ পরে যা-ই হোক তিনি বিচারকার্য দেখে যেতে পেরেছেন৷

    আপনারা দুই ভাই দেশে ফিরলেন কবে?

    তিনি বলেন, আমরা ফিরেছি ১৯৮০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে৷

    দেশে ফিরে কি আপনাদের কোনেও ধরনের সংকটময় পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়েছে?

    “আমার ভাই ফিরে এসে বুয়েটে ভর্তি হয়৷ সেখানে পড়াশোনা করেই সে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার হয়৷ আর আমি ফিরে আসি এক বছর পর৷ আমি ফিরে এসে রাজশাহীতে ল’-তে ভর্তি হই৷ সেখানেও আমি যেন কোনেও কিছুতে জড়িত না হই, আওয়ামী লীগ বা এর কোনেও অঙ্গ বা সহযোগী সংগঠনে জড়িত না হই এ বিষয়ে সতর্ক করে দেওয়া হয়৷ আমাদের বাড়িতে কারা আসবে-যাবে সেটাও ঠিক করে দিতো তৎকালীন বিএনপির মাসেলম্যান যারা ছিল, তারা৷ তারা এগুলো মনিটর করতো এবং দিক নির্দেশনা দিতো৷ তৎকালীন থানা পুলিশও তাদের কথাতে চলতো৷”

    ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট এবং ৩ নভেম্বরের হত্যাকাণ্ডের পাঁচ বছর পর লন্ডনে হত্যাকাণ্ড দুটোর হোতাদের বিচার প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার কারণ জানতে তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়েছিল৷ কিন্তু স্যার টোমাস উইলিয়ামস, কিউ. সি. এমপি’র নেতৃত্বে গড়া ওই কমিশনকে তখন দেশে আসতে দেয়া হয়নি৷ হত্যাকাণ্ডের ৩৮ বছর পর বিচার হলেও তা কার্যকর করা যায়নি৷ এ সম্পর্কে যদি কিছু বলেন…

    এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, আইনি নানা জটিলতায় হোক, বলা যেতে পারে নানা অসহযোগিতার কারণে এ বিষয়টিতে দেরি হচ্ছে৷ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার গঠনের পর কোনেও স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল করেননি৷ এমনকি সামরিক আদালতও না৷ সাধারণভাবে হত্যাকাণ্ডের যেভাবে বিচার হয়, সেভাবেই বিচার করেছেন৷ সেখানে আমরা দেখলাম বেশ সময়ও লাগলো৷ ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সালের মধ্যে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের হত্যাকাণ্ডের বিচারের প্রাথমিক রায়টি পাওয়া গেলেও বাস্তবায়ন করা গেল না৷ কারণ, ২০০১ সালে চার দলীয় জোট সরকার ক্ষমতায় এসে সবকিছু আবার এলোমেলো করে দিয়েছিল৷ চার দলীয় জোট ক্ষমতায় থাকার সময় চার নেতা হত্যার যে রায় তারা দিয়েছিল, সেটিও একটা ‘প্রহসনমূলক’ বলে আমরা বলেছিলাম৷ যেটা আমরা মেনে নিতে পারি না৷ পরবর্তীতে রায় হলেও সবাইকে পাওয়া যাচ্ছিল না, যাচ্ছে না৷ বিদেশে যারা আছে তাদের নিয়ে আসতে আন্তর্জাতিকভাবেও চেষ্টা করা হচ্ছে৷ এখন অপেক্ষার পালা৷ দেখা যাক৷

    স্বাধীনতার ৪৯ বছর পরও দেশের বিভিন্ন কারাগারে নির্যাতনের ঘটনা ঘটে৷ সুস্থ অবস্থায় কারাগারে নেওয়া হয়, কারারুদ্ধ ব্যক্তি ফিরে আসে লাশ হয়ে৷ কারাগারে মানুষ কি এখনো নিরাপদ?

    “আমি মনে করি, ১৯৭৫ সালের জেল হত্যার সময়টি খুবই খারাপ সময় গেছে৷ তবে আমাদের দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বা ১৪ দলীয় জোট ক্ষমতায় আসার পর এ বিষয়ে যথেষ্ট সতর্কতা অবলম্বন করা হয় এবং সেরকম ঘটনা ইদানিং কালে ঘটেছে বলে আমার জানা নেই৷”

    দেশের অনেক কারাগারই প্রয়োজনের তুলনায় অনেক ছোট৷ রাজশাহী কারাগারও এর ব্যতিক্রম নয়৷ সেখানে এত গাদাগাদি অবস্থা যে করোনাকালে সংক্রমণ ছড়ানোর ঝুঁকি কমাতে একাধিকবার বন্দি মুক্তি দিতে হয়েছে৷ কবে রাজশাহী কারাগারকে সুপরিসর আধুনিক কারাগার হিসেবে দেখা যাবে?

    এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, এটা আসলেই সময়োপযোগী একটা প্রশ্ন৷ আসলেই বন্দির সংখ্যা অনেক বেশি৷ বিচারাধীন বন্দির সংখ্যা অনেক বেশি৷ এই কারণে খুবই গাদাগাদি করে সবাইকে থাকতে হয়৷ সেটা সবদিক দিয়েই খারাপ৷ রাজশাহী কারাগারটি অনেক পুরনো এবং স্যাঁতস্যাঁতে একটি ভবন৷ সেটি ভেঙে বা সেটি রেখেই ঢাকায় কাশিমপুরে যেমন একটি কারাগার করা হয়েছে তেমনি শহরের উপকন্ঠে বা একটু বাইরে বড় আকারের কারাগার করবার জন্য আমরা প্রস্তাব দিয়েছি৷ এটি সরকারের সক্রিয় বিবেচনায় আছে৷ বর্তমানে কারাগারটি যেখানে আছে, সেখানে কারা প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট করার অবকাঠামো ইতিমধ্যে তৈরি হয়েছে৷ কাজেই এখানে আর হবে না, নতুন জায়গাতেই আমাদের যেতে হবে৷ সেটি সময়ের ব্যাপার এখন৷

    রাজশাহীর দুইবারের মেয়র হিসেবে আপনি কি এমন কোনও উদ্যোগ নিয়েছেন?

    এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, আমি এ ব্যাপারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানকে একাধিকবার বলেছি৷ উনি রাজশাহীতে এলেও বলেছি৷ উনি সারদাতে প্রায়ই আসেন৷ সেখানেও বলেছি৷ যৌক্তিকতা নিয়ে কোনেও প্রশ্ন নেই৷ শুধু প্রক্রিয়ার বিষয়টি৷ এটি হবে, হয়ে যাবে৷

    জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
    Related Posts
    rain

    এমন বৃষ্টি কত দিন, জানাল আবহাওয়া অফিস

    July 8, 2025
    Taka

    জুলাইযোদ্ধাদের জন্য ২৫ কোটি টাকার বিশেষ তহবিল

    July 8, 2025
    CEC

    নির্বাচনের সময়সীমা নিয়ে ইসি এখনো অবগত নয় : সিইসি

    July 8, 2025
    সর্বশেষ খবর
    সেরা ওয়েব সিরিজ

    রোমান্সে ভরপুর সেরা ওয়েব সিরিজ নিয়ে দর্শকদের মধ্যে উত্তেজনা, একা দেখুন!

    mobile phone

    চার্জবিহীন মোবাইল ফোন, প্রযুক্তির নতুন দিগন্ত!

    Visa

    ঘরে বসেই মিলবে কুয়েতের ভিসা, সুবিধা পাবেন বাংলাদেশিরাও

    দ্বীপ

    ভারতের কোন দ্বীপে গেলে কেউ আর বেঁচে ফেরে না? জানলে অবাক হবেন

    ওয়েব সিরিজ

    উল্লুর সেরা ওয়েব সিরিজ এটি, রোমান্স ও নাটকীয়তায় ভরপুর!

    rain

    এমন বৃষ্টি কত দিন, জানাল আবহাওয়া অফিস

    ছেলে

    কোন বয়সী মেয়েদের কেমন ছেলে পছন্দ

    অপটিক্যাল ইলিউশন

    ছবিটি জুম করে দেখুন প্রথমে পাহাড় দেখছেন নাকি মুখ? জেনে নিন আপনি কেমন মানুষ

    ওয়েব সিরিজ

    রিলিজ হলো সম্পর্কের টানাপোড়েন ও নাটকীয়তা নিয়ে সেরা ওয়েব সিরিজ!

    Taka

    জুলাইযোদ্ধাদের জন্য ২৫ কোটি টাকার বিশেষ তহবিল

    • About Us
    • Contact Us
    • Career
    • Advertise
    • DMCA
    • Privacy Policy
    © 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.