জুমবাংলা ডেস্ক : ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর থেকে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের অপদস্ত করে পদত্যাগে বাধ্য করার প্রবণতায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ মাধ্যমিক সহকারী শিক্ষক সমিতি।
রবিবার (২৫ আগস্ট) সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির ভার্চুয়াল সভায় এমন ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়।
সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো. নূরে আলম বিপ্লবের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি অমৃত কারণ, সুশান্ত ভাওয়াল ও মো. আব্দুস সোবহান মিয়া, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক তমাল দাস লিটন, অর্থ সম্পাদক নিরঞ্জন সরকার, পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক ফয়েজুল হক ফয়েজ, কেন্দ্রীয় সদস্য পরিমল চন্দ্র ঢালী ও বাশার আল হামিদ।
সভায় নেতারা বলেন, কোন অপশক্তির হীন স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করে এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান ও শিক্ষকদের নাজেহাল করা হচ্ছে। তাদের অপমান-অপদস্ত করে পদত্যাগ করতে বাধ্য করানো হচ্ছে। শুধু তাই নয়, পদত্যাগ করানোর পর ন্যক্কারজনকভাবে উপহাস-বিদ্রুপ করা হচ্ছে। চরম হেনস্তা করে শিক্ষকদের সামাজিকভাবে হেয় ও তাদের মর্যাদা ক্ষুন্ন করা হচ্ছে। বিশ্বের কোনো দেশে এ পর্যন্ত শিক্ষকদের এমনভাবে অপমান ও মর্যাদাহানি করা হয়েছে কিনা— তা জানা নেই।
সভায় বলা হয়, কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধান যদি কোন অনিয়ম করে থাকে তা অভিযোগ করার সুনির্দিষ্ট জায়গা রয়েছে। সংশ্লিষ্ট বিভাগে অভিযোগ করে এর প্রতিকার চাইতে পারে। এভাবে কোন শিক্ষককে অপদস্ত করা একপ্রকার সন্ত্রাসী কার্যকলাপ। যারা কোমলমতি শিক্ষার্থীদেরকে ব্যবহার করে এসব হীন ঘটনা ঘটিয়েছে তাদেরকে আইনের আওতায় এনে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।
সভায় শিক্ষক নেতারা আরও বলেন, কিছু শিক্ষার্থীর এমন কর্মকাণ্ড সব সাধারণ শিক্ষার্থীদের গণঅভ্যুত্থানকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে এবং এর দায় তাদের উপর যাচ্ছে। যারা এ ধরনের ন্যক্কারজন আচরণ করেছে এখন পর্যন্ত তাদের কাউকে আইনের আওতায় আনা হয়নি— যা খুবই দুঃখজনক ও হতাশাজনক। নেতৃবৃন্দ জোরপূর্বক ও বলপ্রয়োগ করে পদত্যাগ করানো প্রধান শিক্ষকদের অবিলম্বে স্বপদে বহাল করতে এবং এ ধরনের ঘটনা যাতে আর পুনরাবৃত্তি না ঘটে তার জন্য কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান। তারা বলেন, দেশের এই ক্রান্তিকালে আমরা সুষ্ঠু সুন্দর ও বৈষম্যহীন সমাজ দেখতে চাই এবং শিক্ষার পরিবেশ সুন্দর ও সাবলীল দেখতে চাই। অন্যথায় শিক্ষকরা তাদের অস্তিত্ব ও মর্যাদা রক্ষার্থে রাজপথে আন্দোলনে নেমে পড়বে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।