জুমবাংলা ডেস্ক : ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রে স্বেচ্ছায় না গেলে তাদের জোর করে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী। আজ শনিবার ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ মোকাবিলায় এক জরুরি সভায় তিনি এ নির্দেশ দেন।
অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’-এর কারণে দেশের উপকূলীয় নয় জেলায় ১০ নম্বর ‘মহাবিপদ’ সংকেত জারি করা হয়েছে। শনিবার (৯ নভেম্বর) সকাল থেকে এই সংকেত জারির পর থেকেই উপকূলবর্তী এলাকায় মানুষকে সরে যাওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে স্থানীয় প্রশাসন। শুক্রবার থেকেই লোকজনকে আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য মাইকিং করা হচ্ছিলো। এরপরও তাদের মধ্যে ঘরবাড়ি ছেড়ে যেতে অনীহা দেখা যায়। মহাবিপদ সংকেতের কথা বলে জোর করে তাদের আশ্রয়কেন্দ্রে নিতে হচ্ছে।
আজ সন্ধ্যায় উপকূলীয় এলাকায় আঘাত হানা শুরু করবে ঘূর্ণিঝড় বুলবুল। ব্যাপক প্রচার চালানোর পরও ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার অনেকের মধ্যে আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিতে অনীহা দেখা যাওয়ায় এ নির্দেশ দেন বিভাগীয় কমিশনার।
এদিকে খুলনার সাতটি উপজেলায় ৩৪৯টি আশ্রয়কেন্দ্রে ২ লাখ ৩৮ হাজার ৯৫০ জন মানুষের থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু সাত উপজেলার বিপদাপন্ন মানুষের সংখ্যা ৫ লাখ ১৭ হাজার ২৩৫ জন। ফলে ২ লাখ ৭৮ হাজার ২৮৫ জন মানুষ আশ্রয়হীন থাকার শঙ্কা রয়েছে। তাদের জন্য বিভিন্ন স্কুল, কলেজসহ উঁচু স্থাপনাকে অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র করে সেখানে নিয়ে যাওয়ার জন্য জেলা প্রশাসক নির্দেশ দিয়েছেন। সাত উপজেলায় মোট জনসংখ্যা ১৪ লাখ ৫১ হাজার ১৩০ জন।
খুলনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন জানিয়েছেন, এরই মধ্যে সাতটি উপজেলার মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে আহ্বান জানানো হয়েছে। এজন্য মাইকিংও করা হচ্ছে। ইসলামি ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় প্রতিটি মসজিদ থেকে মাইকিং করা হয়েছে। সাড়ে ৩ হাজার স্বেচ্ছাসেবকও তৎপর রয়েছে। পর্যাপ্ত শুকনো খাবার মজুত রাখা রয়েছে।
তবে ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের কারণে খুলনায় ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত জারির পরও আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে চাচ্ছেন না লোকজন। নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বারবার মাইকিং করা হলেও শনিবার সকাল ১০টা পর্যন্ত কেউই আশ্রয়কেন্দ্রে যায়নি। এ ব্যাপারে উদ্বুদ্ধ করতে কেউ এগিয়ে গেলে তাকে পাল্টা শুনতে হচ্ছে ‘আপনি যাচ্ছেন না কেন?’।
কয়রা সদরের হারুনুর রশীদ বলেন, বৃষ্টিসহ দমকা হাওয়া বইছে। এ অবস্থায় আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে মাইকিং করা হচ্ছে। কিন্তু মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে যাচ্ছেন না। আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে বললে তারা উল্টো প্রশ্ন করছেন।
কয়রা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিমুল কুমার সাহা বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় সার্বিক প্রস্তুতি রয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে মাইকিং করা হচ্ছে। মানুষকে এখনও উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। প্রয়োজন হলে ফোর্স করা হতে পারে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।