জুমবাংলা ডেস্ক: বিশ্ববাজারের সঙ্গে সমন্বয় করে বাংলাদেশে সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম বাড়িয়েছে সরকার। জিজেল ও কেরোসিনের দাম ৩৪ টাকা বাড়িয়ে ১১৪ টাকা। অকটেন ৪৬ টাকা বাড়িয়ে ১৩৫ টাকা এবং পেট্রোল ৪৪ টাকা বাড়িয়ে ১৩০ টাকা নির্ধারণ করেছে সরকার। হঠাৎ করে সব ধরনের তেলের দাম বাড়ানোর কারণে সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। তবে কী কারণে সরকার জ্বালানি তেলের দাম বাড়িয়েছে, সে ব্যাখ্যা দিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু।
শনিবার (৬ আগস্ট) সকালে সাংবাদিকদের প্রতিমন্ত্রী বলেন, বৈশ্বিক বর্তমান প্রেক্ষাপটে বিশ্ববাজারে জ্বালানির মূল্য বেড়ে যাওয়ায় সরকার এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সরকার বাধ্য হয়েই জ্বালানি তেলের দাম বাড়িয়েছে। তবে চিন্তার কারণ নেই, আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমলে বাংলাদেশেও কমানো হবে।
এদিকে তেলের দাম বাড়ানোর কারণে দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ হয়েছে। সাভারে একটি পাম্পে তেল না পেয়ে ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটেছে। এ ছাড়া তেলের দাম বৃদ্ধির খবরে দেশের বিভিন্ন জেলায় পরিবহন সংকট দেখা দিয়েছে। এতে বিপাকে পড়েছেন যাত্রীরা। বিশেষ করে রাজধানীতে এ চিত্র আরও ভয়াবহ। এ অবস্থায় দ্রুত বাস ভাড়া সমন্বয়ের দাবি জানিয়েছেন পরিবহন মালিকরা।
পরিবহন মালিকরা বলছেন, যে হারে জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে, সে হারে ভাড়া না বাড়ালে গাড়ি রাস্তায় নামানো সম্ভব হবে না। কারণ, লস দিয়ে কেউ গাড়ি চালাবে না। এ জন্য দ্রুত সরকারকে ভাড়ার বিষয়টি সমাধান করতে হবে।
এর আগে গতকাল বারিধারার বাসভবনে প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বলেছিলেন, ‘জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর প্রয়োজন। তবে জনগণের দুর্ভোগ হয়, এমন কোনো সিদ্ধান্ত সরকার নেবে না। ’ পাশাপাশি বলেছিলেন, ‘চলতি অথবা আগামী মাসে বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির ঘোষণা আসতে পারে। ’
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) বিগত ছয় মাসে (ফেব্রুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত) জ্বালানি তেল বিক্রিতে আট হাজার ১৪ কোটি টাকার বেশি লোকসান দিয়েছে। বর্তমানে আন্তর্জাতিক তেলের বাজার পরিস্থিতির কারণে বিপিসির আমদানি কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে যৌক্তিক মূল্য সমন্বয় অপরিহার্য হয়ে পড়েছে।
এর আগে গত বছরের নভেম্বরে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো হয়েছিল। সে সময় ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটারে ১৫ টাকা বাড়ানো হয়। তাতে দাম হয়েছিল ৮০ টাকা লিটার। তার আগে এই দুই জ্বালানি তেলের দাম ছিল লিটারে ৬৫ টাকা।
দাম বাড়ার কারণ ব্যাখ্যায় গতকাল জ্বালানি বিভাগের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) বিগত ছয় মাসে (ফেব্রুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত) জ্বালানি তেল বিক্রিতে আট হাজার ১৪ কোটি টাকার বেশি লোকসান দিয়েছে। বর্তমানে আন্তর্জাতিক তেলের বাজার পরিস্থিতির কারণে বিপিসির আমদানি কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে যৌক্তিক মূল্য সমন্বয় অপরিহার্য হয়ে পড়েছে।
ভারত গত ২২ মে কলকাতায় ডিজেলের মূল্য প্রতি লিটার ৯২.৭৬ রুপি এবং পেট্রল লিটারপ্রতি ১০৬.০৩ রুপি নির্ধারণ করে। এই মূল্য বাংলাদেশি টাকায় যথাক্রমে ১১৪.০৯ টাকা এবং ১৩০.৪২ টাকা। (১ রুপি=গড় ১.২৩ টাকা)। বাংলাদেশে মূল্য কম থাকায় তেল পাচার হওয়ার আশঙ্কা ছিল।
চিহ্নিত হয়েছে ‘দুর্বল’ ১০ ব্যাংক, তালিকায় প্রথম যে ব্যাংকের নাম
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।