জোসেলিন বেল জন্মগ্রহণ করেন নর্দান আয়ারল্যান্ডে, ১৯৪৩ সালে। তাঁর বাবা ছিলেন একজন স্থপতি, যিনি আয়ারল্যান্ডের আরমাঘ প্লানেটরিয়ামের নকশা করেছিলেন। প্লানেটরিয়াম পরিদর্শনের সময় বেলকে জ্যোতির্বিজ্ঞান পেশা গ্রহণের জন্য উদ্বুদ্ধ করেছিল কর্তৃপক্ষ। ছোটবেলায় বাবার সংগ্রহে থাকা জ্যোতির্বিজ্ঞানবিষয়ক বইয়ের সঙ্গে পরিচিত হন তিনি।
বেল বেড়ে ওঠেন আরমাঘ শহরের লুরগানে এবং সেখানকারই একটি কলেজে ভর্তি হন। তবে ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও বিজ্ঞান পড়তে দেওয়া হয়নি তাঁকে। মেয়েদের জন্য বিজ্ঞানের পরিবর্তে সেলাই ও রান্নার বিষয় অন্তর্ভুক্ত ছিল। ফলে কলেজ পরীক্ষায় অকৃতকার্য হন তিনি। পরে অন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গিয়ে ভর্তি হন।
সেখানে একজন পদার্থবিদ্যার শিক্ষকের দ্বারা অনুপ্রাণিত হন তিনি। পরে গ্লাসগো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থবিদ্যায় সম্মানসহ স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। পিএইচডি করেন কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে, ১৯৬৯ সালে। পরে যুক্ত হন কেমব্রিজের সম্প্রতি আবিষ্কৃত কোয়েসার পর্যবেক্ষণ প্রকল্পের সঙ্গে।
কর্মজীবনে তিনি সাউদাম্পটন বিশ্ববিদ্যালয়, লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, এডিনবার্গ রাজকীয় মানমন্দির এবং হাওয়াই মাউনাকে (Mauna Kea) জেমস ক্লার্ক ম্যাক্সওয়েল টেলিস্কোপের প্রজেক্ট ম্যানেজার ছিলেন। পদার্থবিদ্যার অধ্যাপক পদে যোগ দেন ইংল্যান্ডের উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে। আমেরিকার প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিজিটিং অধ্যাপকসহ বাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের ডিনের দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
২০০২ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত দুই বছরের জন্য তিনি দায়িত্ব পালন করেন রয়্যাল অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটির সভাপতির। এ ছাড়া অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যোতির্পদার্থবিজ্ঞানে ভিজিটিং অধ্যাপক ছিলেন। দুই বছর কাটান ইনস্টিটিউট অব ফিজিকসের সভাপতি হিসেবে। ২০১৮ সালে ডান্ডি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিযুক্ত হন।
জোসেলিন বেল অসংখ্য পুরস্কার পেয়েছেন জীবনে। তার মধ্যে ২০১৮ সালে ফান্ডামেন্টাল ফিজিকসে স্পেশাল ব্রেকথ্রু পুরস্কার অন্যতম। এ পুরস্কারের অর্থের মূল্য ছিল ২৩ লাখ পাউন্ড। এই অর্থ তিনি নারী, সংখ্যালঘু ও উদ্বাস্তু শিক্ষার্থীদের মধ্যে পদার্থবিদ্যা গবেষণায় ব্যয় করেন। এটি পরবর্তীকালে বেল বার্নাল গ্র্যাজুয়েট স্কলারশিপ ফান্ড নামে পরিচিত লাভ করে। ফান্ড পরিচালনার দায়িত্ব অর্পণ করা হয় ইনস্টিটিউট অব ফিজিকসের ওপর।
জোসেলিন বেল জন্মগ্রহণ করেন নর্দান আয়ারল্যান্ডে, ১৯৪৩ সালে। তাঁর বাবা ছিলেন একজন স্থপতি, যিনি আয়ারল্যান্ডের আরমাঘ প্লানেটরিয়ামের নকশা করেছিলেন। প্লানেটরিয়াম পরিদর্শনের সময় বেলকে জ্যোতির্বিজ্ঞান পেশা গ্রহণের জন্য উদ্বুদ্ধ করেছিল কর্তৃপক্ষ। ছোটবেলায় বাবার সংগ্রহে থাকা জ্যোতির্বিজ্ঞানবিষয়ক বইয়ের সঙ্গে পরিচিত হন তিনি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।