শাহাদুল ইসলাম সাজু, বাসস: জয়পুরহাট জেলার ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী শিশু তৃষা (১২) নিজের বাল্যবিয়ে বন্ধে এক সাহসী ভূমিকা পালন করেছে।
জেলা শহরের পূর্ববাজার এলাকার ছিন্নমূল শিশুদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জয়পুরহাট শিশু কল্যাণ প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ষষ্ঠ শ্রেণীতে পড়ে তৃষা। বাবা-মা ও আত্মীয়স্বজন মিলে দারিদ্রতার অজুহাতে শিশু তৃষাকে এক লেদ শ্রমিকের সঙ্গে বিয়ের দিন ঠিক করে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় । অন্যদের মতো চুপ না থেকে সাহসী তৃষা বিষয়টি সোমবার তার বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আইয়ুব আলীকে জানায়। খবরটি উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরাফাত হোসেনকে জানানো হলে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ পাঠিয়ে এলাকার কাউন্সিলারের সহায়তায় বাল্যবিয়ে বন্ধ করা হয়। অসহায় দরিদ্র পরিবারে বেড়ে ওঠা শিশুটিকে পরিবারের লোকজন যেন হেনস্থা করতে না পারে সে জন্য প্রধান শিক্ষকের হেফাজতে বাড়িতে রাখা হয় প্রাথমিকভাবে। শিশুটির ভবিষ্যৎ নিয়ে কি করা যায় জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন ও জেলা সমাজসেবা বিভাগ যৌথভাবে কাজ করে। জয়পুরহাটে শিশু পরিবার বালিকা না থাকায় বিষয়টি নিয়ে জয়পুরহাট জেলা প্রশাসক মো: শরীফুল ইসলাম নওগাঁ জেলা প্রশাসকের সঙ্গে কথা বলেন এবং বুধবার বিকেলের মধ্যে তৃষার উন্নত ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করার স্বার্থে নওগাঁ শিশু পরিবার বালিকাতে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়।
জয়পুরহাট শিশু কল্যাণ প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের প্রধান শিক্ষক আইয়ুব আলী বলেন, বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা পাওয়া শিশু তৃষা এখন সরকারি খরচে লেখাপড়া করবে এবং উন্নত ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার সুযোগ পাবে।
নওগাঁ শিশু পরিবার বালিকা সরকারি তত্বাবধায়ক শহিদুল ইসলাম জানান, বুধবার বিকেে ল জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় তৃষা নামে ওই শিশুকে ভর্তি করা হয়েছে।
জয়পুরহাট সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরাফাত হোসেন বলেন, প্রধান শিক্ষকের মাধ্যমে বাল্যবিয়ের খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে তা বন্ধ করার ব্যবস্থা করা হয়। শিশুটি নিজের বাল্যবিয়ে রোধ করতে সাহসী ভূমিকা পালন করেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। সরকারি শিশু পরিবারে লেখাপড়া শেষ করে উন্নত ভবিষ্যৎ গড়তে তুলতে সক্ষম হবে তৃষা এমন প্রত্যাশা করেন তিনি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।