আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা, কংগ্রেস এবং আরজেডির জোট সরকার বাংলাদেশের অনুপ্রবেশকারীদের সমর্থক। এই দলগুলো রাজ্যের সামাজিক সম্প্রীতি নষ্ট করছে। তারা অনুপ্রবেশকারীদের সমর্থক। বাংলাদেশের অনুপ্রবেশকারীদের ভোট পেতে, তারা ঝাড়খণ্ড জুড়ে তাদের (বাংলাদেশিদের) বসতি স্থাপন করছে।
এনডিটিভি জানিয়েছে, সোমবার ৪ নভেম্বর ঝাড়খন্ডের এক জনসভায় নরেন্দ্র মোদি রাজ্যটির ক্ষমতাসীন ঝাড়খন্ড জনমুক্তি মোর্চার (জেএমএম) নেতৃত্বাধীন সরকারকে অনুপ্রবেশকারীদের দোসর বলেছেন। নরেন্দ্র মোদি বলেন, ঝাড়খন্ডে ক্ষমতাসীন জোটের নেতাদের কেলেঙ্কারি এখন এক শিল্পে পরিণত হয়েছে এবং দুর্নীতি ঝাড়খন্ডকে উইপোকার মতো গ্রাস করেছে।
ঝাড়খণ্ডের গিরিডির একটি স্কুলে একজন মুসলিম শিক্ষকের সরস্বতীর প্রার্থনা বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগে তুলে তিনি বলেন, যখন স্কুলগুলো সরস্বতী বন্দনা নিষিদ্ধ করে, তখন আপনি কল্পনা করতে পারেন যে এটি কত বড় বিপদ। উৎসবের সময় যখন পাথর নিক্ষেপ করা হয়, মা দুর্গাকে থামানো হয় এবং কারফিউ জারি করা হয় তখন আপনি বুঝতে পারবেন যে এটা কতটা বিপজ্জনক।
তিনি আরও বলেন, যদি জেএমএম, কংগ্রেস এবং আরজেডির এই নীতি চলতে থাকে, তাহলে ঝাড়খণ্ডের আদিবাসী সমাজ সংকুচিত হবে। তাই এই অনুপ্রবেশকারী জোটকে উপড়ে ফেলতে আপনার ভোটের সাহায্য নিন।
ক্ষমতাসীন জোটের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, দুর্নীতি দেশকে তিমিরের মতো ফাঁকা করে দেয়। এটি দরিদ্র, দলিত, অনগ্রসর শ্রেণী এবং আদিবাসীদের ধ্বংস করে। ঝাড়খণ্ড পাঁচ বছর ধরে জেএমএম-কংগ্রেস-আরজেডি সরকারের দুর্নীতি দেখেছে।
প্রধানমন্ত্রী গত বছর কংগ্রেসের সাবেক রাজ্যসভা সাংসদ ধীরাজ সাহুর বাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণ নগদ অর্থ সংগ্রহের কথা উল্লেখ করে বলেন, কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদের বাড়ি থেকে নগদ টাকার পাহাড় উদ্ধার করা হয়েছে। এমন পাহাড় আমি কখনও দেখিনি। টিভিতে দেখেছি। গণনার সময় মেশিনগুলো ক্লান্ত হয়ে পড়েছিল। এই টাকা কি ঝাড়খণ্ডের ছিল না?
ঝাড়খন্ডে ২৩ নভেম্বর বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনে জিততে মরিয়া বিজেপি। নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণার পর থেকেই মোদি-অমিত শাহের বিজেপি ঝাড়খন্ডে তথাকথিত ‘বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী’ ইস্যুকে হাতিয়ার হিসেবে নিয়েছে। সম্প্রতি অমিত শাহও বলেছেন, বাংলাদেশিরা ব্যাপক হারে ঝাড়খন্ডে অনুপ্রবেশ করছে এবং বিজেপি রাজ্য ক্ষমতায় এলে তাদের বিদায় করা হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।