নিজস্ব প্রতিবেদক, গাজীপুর: গাজীপুরের টঙ্গীতে ছুরিকাঘাতে নিহত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মাহফুজুর রহমান হত্যা মামলায় চারজন পেশাদার ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১। শনিবার (১২ জুলাই) টঙ্গীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
রবিবার (১৩ জুলাই) দুপুরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব-১ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার সালমান নূর আলম এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
গ্রেফতারকৃতরা হলো—রাফসান জানি রাহাত (২৮), রাশেদুল ইসলাম (২০), কাওছার আহম্মেদ পলাশ (২৩) ও রাকিব ইসলাম (২৬)। তাদের মধ্যে রাকিব একজন চোরাই মোবাইল বিক্রেতা এবং মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকার অতীত রেকর্ড রয়েছে।
নিহত মাহফুজুর রহমান বরিশালের হায়াতসার গ্রামের বাসিন্দা। তিনি সরকারি সৈয়দ হাতেম আলী কলেজের অর্থনীতি বিভাগের অনার্স (২০২২–২৩ সেশন) শিক্ষার্থী ছিলেন।
গত ৯ জুলাই রাতে রাজধানীর আব্দুল্লাহপুর ফ্লাইওভার থেকে সেনাকল্যাণ ভবন সংযোগ সড়কে ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে গুরুতর জখম হন মাহফুজ। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
ঘটনার পরপরই টঙ্গী পশ্চিম থানায় অজ্ঞাতদের আসামি করে মামলা দায়ের করেন নিহতের দুলাভাই।
র্যাব জানায়, হত্যাকাণ্ডের পর তদন্তকারী দল ক্লু না পেলেও ভিকটিমের অ্যান্ড্রয়েড ফোন শনাক্ত করে। মাত্র দুই ঘণ্টার মধ্যে সেটটি এক ব্যক্তির কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়, যিনি পরে স্বীকার করেন সেটটি কিনেছেন ৩,৫০০ টাকায়।
এ সূত্র ধরে প্রথমে গ্রেফতার করা হয় কাওছার আহম্মেদ পলাশকে। পরে তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ছুরিকাঘাতে জড়িত রাশেদকে গ্রেফতার করা হয়। একে একে ধরা পড়ে মোটরসাইকেলচালক রাহাত এবং চোরাই মোবাইলের মূল ক্রেতা রাকিব।
জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা জানায়, তারা সংঘবদ্ধ ছিনতাইচক্রের সদস্য এবং ঘটনার দিন কুর্মিটোলা ও হাউজ বিল্ডিং এলাকায় আরও দুটি ছিনতাই করেছে। ছিনতাইয়ের আগে তারা নিয়মিত মাদক সেবন করে এবং রাকিবের কাছ থেকে ধারালো অস্ত্র সংগ্রহ করে।
মাহফুজকে ছিনতাইয়ের সময় বাধা দেওয়ায় ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত করা হয় বলে জানায় চক্রটি। পরে ছিনতাইকৃত তিনটি মোবাইল ফোন একই রাতে রাকিবের কাছে বিক্রি করে তারা।
র্যাব জানায়, গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।