আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ব্রিটেনের আলোচিত সাবেক প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারকে নাইট উপাধি দেওয়ার ক্ষুব্ধ দেশটির নাগরিকরা। ব্রিটেনের সাবেক প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারের নাইট উপাধি কেড়ে নেয়ার জন্য রাণী এলিজাবেথের কাছে প্রায় সাত লাখ মানুষ আবেদন জানিয়েছেন। গত সপ্তাহে রাণী এলিজাবেথ সাবেক প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারকে এই উপাধিতে ভূষিত করেন।
এর বিরোধিতা করে এবং নাইট উপাধি কেড়ে নেয়ার দাবি জানিয়ে যেসব মানুষ আবেদনে সই করেছেন তারা বলছেন, ২০০৩ সালে ইরাকে যে মিথ্যা তথ্যের ভিত্তিতে সামরিক আগ্রাসন চালানো হয় তার জন্য টনি ব্লেয়ারের বিচার হওয়া উচিত।
ইরাক ও আফগানিস্তান যুদ্ধের পিছনে ব্রিটেনের সাবেক প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। এরই কারণে তার নাইটহুড উপাধি প্রত্যাহারের দাবি তুলেছেন ব্রিটিশ নাগরিকরা।
আবেদনকারীরা আরো বলছেন, অবৈধভাবে ইরাকে আগ্রাসন চালানো হয়েছে এবং তার জন্য সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশের পাশাপাশি টনি ব্লেয়ারও সমানভাবে দায়ী। আবেদনকারীরা টনি ব্লেয়ারকে যুদ্ধাপরাধী বলে আখ্যায়িত করেছেন।
ব্রিটিশ রাণী এলিজাবেথ সাবেক প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারকে দেশের সর্বোচ্চ সম্মানিত খেতাব নাইট উপাধিতে ভূষিত করলেও আবেদনকারীরা বলছেন, টনি ব্লেয়ার হচ্ছেন বিশ্বের সবচেয়ে অপছন্দনীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের একজন। ১৯৯৭ সাল থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত তিনি ক্ষমতায় ছিলেন।
ব্রিটিশ সমাজে এই ঘোষণার গভীর নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে এবং তা প্রতি মুহূর্তেই বাড়ছে। ইরাক থেকে যুদ্ধফেরত ব্রিটিশ সেনারা বলছেন, নাইট উপাধি দেয়ার আগে এই ব্যবস্থা নিয়ে আরো অনেক বেশি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা দরকার। একথার মধ্যদিয়ে তারা মূলত ব্লেয়ারের নাইট উপাধিতে ভূষিত করার বিরোধিতা করেছেন। সূত্র : পার্সটুডে, স্পুটনিক, বিবিসি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।