বিনোদন ডেস্ক : ‘টাইটানিক’খ্যাত অভিনেতা লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও। অভিনয়ের সম্মাননা হিসেবে পেয়েছেন অস্কার। হয়েছেন শ্রেষ্ঠ অভিনেতা। অভিনেতা ছাড়াও তার আরো একটি পরিচয় রয়েছে। তিনি একজন পরিবেশবাদী। পরিবেশ নিয়ে নানা রকম উদ্যোগে তাকে সক্রিয় দেখা যায়।
তার প্রতিদানে দারুণ এক প্রাপ্তি যোগ হলো লিওনার্দোর ঝুলিতে। লন্ডনে অবস্থিত ‘রয়্যাল বোটানিক গার্ডেন’-এর বিজ্ঞানীরা সম্প্রতি একটি নতুন প্রজাতির গাছ আবিষ্কার করেছেন। গাছটি কেবলমাত্র ক্যামেরুন জঙ্গলেই জন্মায়। বিশ্বের অন্য কোথাও এই গাছের অস্তিত্ব পাওয়া যায় নি।
বিজ্ঞানীরা গাছটির নামকরণ করেছেন অস্কারজয়ী অভিনেতা লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও’র নামে। গাছটির নাম দেয়া হয়েছে ইউভারিওপসিস ডিক্যাপ্রিও। ডাক নাম শুধু ‘ডিক্যাপ্রিও’।
২০২২ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে নামকরণ করা প্রথম নতুন উদ্ভিদ ‘ডিক্যাপ্রিও’। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, গ্রীষ্মমন্ডলীয় চিরহরিৎ গাছটি লম্বায় ৪ মিটার। এতে ১৫ সেন্টিমিটার লম্বা পাতা রয়েছে। গাছের শরীরে চকচকে হলুদ ফুল হয়। গাছটি ইলাং ইলাং পরিবারের। জঙ্গলের অল্প কিছু এলাকায় একে পাওয়া যায়। খুবই বিরল প্রজাতির একটি গাছ।
বিবিসির রিপোর্ট অনুযায়ী, লিওনার্দোকে সম্মান জানাতেই বিজ্ঞানীরা তার নামে গাছের নতুন প্রজাতির নামকরণ করেছেন।
একটি রেইন ফরেস্টকে বাঁচানোর জন্য অভিনেতার অবদান ও সংগ্রামকে সম্মান জানাতে চেয়েছিলেন বিজ্ঞানীরা। বেশকিছু বছর ধরে বন-জঙ্গল বাঁচানো, গাছ কাটা বন্ধের মতো নানা প্রকল্পের সঙ্গে নিজেকে যুক্ত রেখেছেন লিওনার্দো।
বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, ‘এটা খুব কঠিন সময়। এই কঠিন সময়ে লিওনার্দো নিজে থেকে এগিয়ে এসে বন ও গাছের পাশে দাঁড়িয়েছেন। ইবো জঙ্গল বাঁচানোর চেষ্টা করেছিলেন। তার সম্মানে এটুকু করতে পেরে আমরা আনন্দিত।’
বিজ্ঞানী ড. মার্টিন চিক বলেন, ‘আমরা মনে করি তিনি ইবো ফরেস্টের লগিং বন্ধ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।’
ইবো ফরেস্ট ক্যামেরুনের বৃহত্তম অক্ষত রেইনফরেস্টগুলোর মধ্যে একটি। অসংখ্য বন্যপ্রাণির আবাসস্থল। এই জঙ্গলে শিম্পাঞ্জির এমন একটি প্রজাতি রয়েছে যারা মাছ ধরার জন্য উইপোকা ও ডালপালা ব্যবহার করে। বাদাম ফাটাতে পাথর। এটি এমন একটি বন যা আগে উদ্ভিদ বিজ্ঞানের কাছে তুলনামূলকভাবে অজানা ছিল।
হলিউডের তারকারা দীর্ঘকাল ধরে পরিবেশ-সম্পর্কিত সমস্যার পক্ষে ছিলেন। ২০২০ সালে ক্যামেরুন আদিম বন্যপ্রাণি সংরক্ষণে লগিং করার অনুমতি দেয়ার পরে ডিক্যাপ্রিও সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারণা চালান। সরকার অনেক পরে লগিং করার অনুমতি দেয়ার পরিকল্পনা প্রত্যাহার করে। যদিও বনটিকে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় উদ্যান হিসাবে মনোনীত করা হয়নি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।