প্রতীক মুস্তাফিজ : টাকার ওপর সংখ্যা লিখন, সিল, স্বাক্ষর প্রদান বা বারবার স্ট্যাপলিং করার ফলে অপেক্ষাকৃত কম সময়ে নোটগুলো প্রচলনের অযোগ্য হয়ে পড়ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুসন্ধানে দেখা গেছে, লেখালেখির এ প্রবণতা দিনে দিনে বাড়ছে এবং ব্যাংক কর্মকর্তারা লাল, নীল, কালোসহ বিভিন্ন রঙের কালিতে বেশি লেখালেখি করছেন।
সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলার থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। সব মূল্য্যমানের নোট ব্যান্ডিং বা প্যাকেট করার সময় সিল মারার বিষয়টি একটি চর্চায় পরিণত হয়েছে। এতে খুব অল্প সময়ের মধ্যে নোট অচল হয়ে যাচ্ছে। স্ট্যাপলিংয়ের কারণে নোটের স্থায়িত্ব কমে যাচ্ছে। এ প্রবণতা বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচ্ছন্ন নোট নীতি ও নোট ব্যবস্থাপনা কৌশলের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। এ রকম পরিস্থিতিতে টাকার ওপর কোনো ধরনের সিল, সই, লেখালেখি বা স্ট্যালিং না করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ব্যাংকগুলোকে।
এ প্রসঙ্গে আলাপকালে নাম প্রকাশ করার শর্তে বাংলাদেশ ব্যাংকের এক কর্মকর্তা জুমবাংলাকে বলেন, ‘ব্যাংক কর্মকর্তারা অনেক সময় কারণ ছাড়াই টাকার ওপর লেখালেখি করে থাকেন। হাতের কাছে টাকা থাকাটা যে একটি কাগজের মতন। যখন যা খুশি যে কোনো কালিতে লিখে ফেলছেন। এটা বন্ধ করা জরুরি।’
বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি নির্দেশনায় বলা হয়েছে, নতুন ও পুনঃপ্রচলনযোগ্য নোট প্যাকেট করার সময় সিল, সই, সংখ্যা বা অন্য কোনো খেলালেখি না করে ব্যাংকের মুদ্রিত ‘ফ্লাইলিফ’-এ ব্যাংক শাখার নাম, সিল, নোট গণনাকারী ও প্রতিনিধির স্বাক্ষর ও তারিখ আবশ্যিকভাবে দিতে হবে।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, এক হাজার টাকা ছাড়া অন্য নোটের প্যাকেটে পিনের ব্যবহার করা যাবে না। এখন থেকে অন্য সব নোট পলিমার টেপ বা পলিমারযুক্ত পুরু কাগজের টেপ দিয়ে বাঁধতে হবে। এতদিন ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোটে পিনের ব্যবহার করার সুযোগ ছিল। এখন থেকে সেটি বন্ধ করা হচ্ছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।