একটা সময় বলা হতো যে, ফুটবলের পেছনে ২২ জন খেলোয়াড় দৌঁড়ায় কিন্তু দিনশেষে জিতে যায় জার্মানি। ২০০৬ সাল থেকেই জার্মানি বড় বড় টুর্নামেন্টে দুর্দান্ত পারফর্ম করে আসছে। সর্বশেষ ২০১৪ সালে ফর্মে থাকা টিম আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় জার্মানি।
২০১৮ ও ২০২২ বিশ্বকাপে পরপর দুইবার গ্রুপ পর্ব থেকে জার্মানিকে বিদায় নিতে হলো। জার্মানির ভক্তদের এখন একটাই প্রশ্ন। জার্মান শিবিরের এই অবস্থা কেন। জার্মানির পাওয়ার ফুটবল কেন আর কাজ করছে না।
জার্মানির এই ব্যর্থতার পেছনে কিছু কারণ অনুসন্ধান করা যাক। সবার প্রথমে বলতে হয়েছে জার্মানের ডিফেন্সে বড় ধরনের সমস্যা ছিল। বড় টুর্নামেন্টে সাফল্য পেতে হলে গোল হজম না করার অভ্যাস থাকাটা জরুরী।
অথচ জার্মানি তাদের প্রথম ম্যাচে দুইটি গোল হজম করে। ফলাফল স্বরূপ প্রথম ম্যাচে জাপানের বিরুদ্ধে পরাজিত হতে হয়। পুরো তিন ম্যাচে তাদের পাঁচ গোল হজম করতে হয়। মেজর টুর্নামেন্টে এ ধরনের ডিফেন্স নিয়ে ভালো করাটা খুব কঠিন।
জার্মানির ডিফেন্ডারদের মধ্যে তেমন সমন্বয় ছিল না। দ্রুতগতির স্ট্রাইকারদের থামাতে তারা ব্যর্থ হয়েছে। অন্যদিকে গোলকিপার হিসেবে ম্যানুয়াল নায়ার তারা সেরাটা দিতে পারেনি।
জার্মানির মাঝ মাঠ এবং ফরওয়ার্ড সাইডের মধ্যে ভারসাম্য ছিল না। শোয়াইনস্টাইগার ও টনি ক্রুস থাকার সময় জার্মানির মাঝ মাঠ যতটা কার্যকরী ছিল এখন তেমনটা নেই। প্রিমিয়ার লিগে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা কায়ী হার্ভাটস জাতীয় দলে এসে নিজেকে হারিয়ে খুঁজছেন।
কায়ী হার্ভাটস একই সাথে জার্মানির জাতীয় দল এবং ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের চেলসি দলের মূল স্ট্রাইকার। কিন্তু তিনি ফর্মে না থাকায় জাতীয় দল বেশী বিপদের মধ্যে পড়ে। একের পর এক সুযোগ তৈরি করার পরও পর্যাপ্ত গোল করতে না পারায় চূড়ান্ত হতাশায় পড়তে হয় তাদের। তাছাড়া তারুণ্যে ভরা জার্মানি দলে অভিজ্ঞতার ঘাটতি স্পষ্ট।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।