নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম: টানা বৃষ্টিতে ফের প্লাবিত হয়েছে বন্দরনগরী চট্টগ্রামসহ এই জেলার বিভিন্ন এলাকা। এতে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি চরম দুর্ভোগে পড়েছে আজ থেকে শুরু হওয়া এইএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা।
শনিবার রাতভর টানা ভারী বর্ষণ হয়েছে চট্টগ্রাম নগরে। এতে নিচু এলাকাগুলোর সড়ক ও অলিগলিতে হাঁটু থেকে কোমর সমান পানি জমেছে।
নগরীর দুই নম্বর গেইট, জিইসি, মুরাদপুর, চকবাজার, কে বি আমান আলী সড়ক, কাতালগঞ্জ, ফিরিঙ্গী বাজার, বক্সিরবিট, ডিসি রোড, খাজা রোড, খরম পাড়া, বাদুরতলা, কাপাসগোলা, চান্দগাঁও, হালিশহর, বাকলিয়া, বড় কবরস্থানসহ বিভিন্ন এলাকা তলিয়ে গেছে হাঁটু থেকে কোমর পানিতে।
টানা বর্ষণে নগরীর ষোলশহর এলাকায় পাহাড়ধসে সাত মাস বয়সী শিশুকন্যাসহ এক বাবা নিহত হয়েছেন। আজ (২৭ আগস্ট) সকাল সাড়ে সাতটায় আই ডব্লিউ কলোনিতে এ ঘটনা ঘটে।
পানিতে ডুবে গেছে চট্টগ্রাম জেলার বিভিন্ন এলাকার সড়কও। বন্ধ হয়ে গেছে যানবাহন চলাচল। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন মানুষ।
চট্টগ্রামে শনিবার দিনভর থেমে থেমে গুড়ি বৃষ্টি হলেও মধ্যরাত থেকে বৃষ্টির পরিমাণ বেড়ে যায়। রবিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত নগরীতে ১৩০ দশমিক ৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আমবাগান আবহাওয়া অফিস।
ওই অফিসের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক মফিজুর রহমান বলেন, ‘এটা বর্ষার স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত। রবিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘন্টায় চট্টগ্রামে ১৩০ দশমিক ৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।’
চট্টগ্রাম এ বছর অন্তত ১০ বার জলাবদ্ধতায় ডুবেছে। গত ৪ থেকে ৭ আগস্ট টানা চার দিন জলাবদ্ধতা ছিল। এ সময় কোনো কোনো এলাকায় ৯ থেকে ১০ ঘণ্টা পর্যন্ত পানি জমে ছিল।
জলাবদ্ধতা চট্টগ্রামের অন্যতম বড় সমস্যা। গত কয়েক দশক ধরেই জলাবদ্ধতার দুর্ভোগ মাথায় নিয়ে চলছে নগরবাসী। জলাবদ্ধতা নিরসনে ১৩ হাজার ৮০০ কোটি টাকার চারটি বড় সরকারি প্রকল্প চলছে বছরের পর বছর। এই চার প্রকল্পের প্রতিটিরই সময় ও ব্যয় বাড়লেও সুফল মিলছে না।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।