স্পোর্টস ডেস্ক : ইনজুরির কারণে ২০০৯ সালের পর টেস্ট খেলা হয়নি মাশরাফি বিন মুর্তজার। ওয়ানডে ক্রিকেট চালিয়ে গেলেও ২০১৭ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নিয়েছিলেন তিনি। টি-টোয়েন্টিতে খেলা চালিয়ে যাওয়ার ইচ্ছে থাকলেও এক প্রকার বাধ্য হয়েই অবসর নিয়েছিলেন ডানহাতি এই পেসার। দেশের বেসরকারি টিভি চ্যানেল একাত্তরের খেলাযোগকে এমনটাই জানিয়েছেন মাশরাফি।
শ্রীলৈঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ শেষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে টস করতে গিয়ে ২০ ওভারের ক্রিকেটকে বিদায় বলেন তিনি। হুট করে মাশরাফির এমন সিদ্ধান্তের পর আলোচনা অন্ত ছিল না। সবার মাঝে একটা প্রশ্ন ছিল হুট করে কেন টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরে গেলেন তিনি।
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) ভালো পারফরম্যান্স করার সঙ্গে দলকে শিরোপা এনে দেওয়ায় আরও বেশি প্রশ্নটা উঠেছিল। অবশেষে এটি নিয়ে মুখ খুলেছেন তিনি। যেখানে তিনি জানিয়েছেন, ওই সিরিজে অবসর না নিয়ে উপায় ছিল না তাঁর।
মাশরাফি বলেন, ‘ওইখানেও কিন্তু আমাকে করতেই হতো, এমন পরিস্থিতিই তৈরি হয়েছিল যে আমাকে করতেই হতো। নিতে হয়েছে, বিস্তারিত যাবো না। আমি কার থেকে সহযোগিতা পেয়েছি দেখান তো আমার টাইমে। ২০১১ বিশ্বকাপে ইনজুরিতে পড়ে ডাক্তার ছাড় দেয়ার পরও আমাকে দলে নেয়া হয়নি। ২০১৭ সালে যখন অবসরে গেলাম তখন আমার পাশে কেউ ছিল না দেশের মানুষ ছাড়া।’
সেই সঙ্গে মাশরাফি দাবি করেছেন শ্রীলঙ্কা সফরে টিম হোটেলে ওঠার পর তাকে সময় দেয়নি টিম ম্যানেজমেন্ট। এমনকি ট্রাভেল টিশার্টটাও পরিবর্তন করারও না। হোটেলের লোবিতে বসেই মাশরাফির সঙ্গে বৈঠক করেন বোর্ডের কর্তারা। তখনই মাশরাফি ধারণা করেছিলেন এখানে কোনো গোলমাল রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমি যখন শ্রীলঙ্কায় পা রেখে হোটেলে যাই, আমি তখনও ট্রাভেল স্যুটও খুলিনি তখনই নিচে আমার সঙ্গে বৈঠকে বসে। ওই বৈঠকের পরই আমি ভাবি যে, কিছু একটা গোলমাল আছে। আমি সবসময় বলে আসতাম আমরা সিদ্ধান্তগুলো কিন্তু হুট করেই হবে। আমি যখন বুঝতে পেরেছি সবার বিপরীতে থাকার প্রয়োজন নাই।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।