আমরা দাঁত পরিষ্কার করার জন্য যেসব পেস্ট ব্যবহার করি সেগুলো তো ক্ষারীয় প্রকৃতির। কিন্তু অ্যাসিডজাতীয় কিছু (পানীয় বা ফল) মুখ দিয়ে গ্রহণ করলে দাঁতে একধরনের মসৃণতা বা চকচকে ভাব আসে। টুথপেস্টে ক্ষারজাতীয় পদার্থ থাকে। কেন, সেটা বলছি। আমরা খাবার খেলে মুখের ব্যাকটেরিয়াগুলো সেই খাদ্যের উপাদান ভেঙে খেতে থাকে আর এই প্রক্রিয়ায় অ্যাসিড তৈরি হয়। এই অ্যাসিড দাঁতের অ্যানামেল ক্ষয় করে।
ফলে দাঁত নষ্ট হয়। সে জন্য টুথপেস্টে সামান্য ক্ষার মেশানো থাকে। যেন সেই ক্ষার অ্যাসিডের সঙ্গে বিক্রিয়া করে তাকে নিষ্ক্রিয় করে। এটা ঠিক নয় যে টুথপেস্টে অ্যাসিড থাকলে দাঁত চকচকে হয়। বরং সেটা দাঁতের জন্য ক্ষতিকর। টুথপেস্টের ক্ষার অ্যাসিড নিষ্ক্রিয় করে মূলত দাঁত রক্ষা করে। এজন্য সাধারণত অ্যাসিডিক টুথপেস্ট বানানো হয় না।
এখানে আমরা একটি কথা মনে রাখতে পারি, দাঁতের যত্নের জন্য রাতে খাওয়ার পর এবং সকালে ঘুম থেকে উঠে নাশতার আগেই আবার টুথপেস্ট দিয়ে দাঁত মাজতে হয়। রাতে একবার এক ধরনের সুতা, ডেন্টাল ফ্লস দিয়ে দাঁতের ফাঁকে আটকে থাকা খাবারের কণাগুলো পরিষ্কার করতে হয়। তাহলে আর দাঁতে পোকা ধরা বা অ্যানামেল ক্ষয়ের ভয় থাকে না। প্রশ্ন ওঠে, সকালে কেন? আমরা জানি, লালা ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে।
কিন্তু রাতে ঘুমের সময় মুখে লালা বের হয় না। তাই মুখের ব্যাকটেরিয়াগুলো বেঁচে থাকে এবং দ্রুত বংশবিস্তার করে। এরা অপেক্ষা করতে থাকে সকালে কখন আমরা নাশতা করব। তখন ওরা মজা করে খাবে আর অ্যাসিড নির্গত করবে, যা দাঁতের অ্যানামেল ক্ষয় করে। তাই সকালে খাবারের আগে যদি আমরা টুথপেস্ট দিয়ে দাঁত মাজি, তাহলে ব্যাকটেরিয়াগুলো নির্মূল হয়। তখন আর অ্যাসিডে দাঁত নষ্ট হওয়ার ভয় থাকে না।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।