আন্তর্জাতিক ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের কলিভিল শহরের এক সিনাগগে (ইহুদি উপাসনালয়) কয়েকজনকে জিম্মি করেছে এক ব্যক্তি। পুলিশ তার সঙ্গে আলোচনা করছে। জানা গেছে, শনিবার রাতে এক জিম্মিকে ছেড়েও দেওয়া হয়। তার কোনো ক্ষতি করা হয়নি। অন্য কারো কোনো শারীরিক ক্ষতি করার কথা জানা যায়নি।
এর আগে কংগিগ্রেশন বেথ ইসরায়েল নামের সিনাগগে স্থানীয় সময় সকাল ১১টার দিকে সাবাথের প্রার্থনার সময় ঘটনার সূত্রপাত হয়। ফেসবুকে চলা স্ট্রিমিংয়ের অডিওতে এক ব্যক্তিকে চেঁচিয়ে বলতে শোনা যায়, ‘আমার বোনকে ফোন দিন। আমি মরতে চলেছি।’ লোকটি আরো বলে, ‘আমেরিকার কোনো একটা সমস্যা হয়েছে।’ এর কিছুক্ষণ পরেই আশপাশ থেকে লোকজনকে সরিয়ে নেওয়া হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের মিডিয়ার খবর অনুযায়ী, সিনাগগের যাজকসহ চার ব্যক্তিকে প্রথমে জিম্মি করা হয়েছিল বলে মনে করা হচ্ছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একজন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা এপিকে বলেছেন, জিম্মিকারী ব্যক্তি সশস্ত্র বলে জানানো হয়েছে। তবে তা নিশ্চিত করা যায়নি।
এ নিয়ে এফবিআইয়ের সংকট বিষয়ক আলোচকরা জিম্মিকারীর সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে।
এদিকে জিম্মিকারীকে পাকিস্তানি স্নায়ুরোগবিশারদ আফিয়া সিদ্দীকির মুক্তি দাবি করতে শোনা যায়। আফিয়া যুক্তরাষ্ট্রে ৮৬ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করছেন। আফগানিস্তানে বন্দি থাকার সময় যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক কর্মকর্তাদের হত্যাচেষ্টার দায়ে তাকে ওই সাজা দেওয়া হয়।
ভিক্টোরিয়া ফ্রান্সিস নামে এক নারী বার্তা সংস্থা এপিকে বলেছেন, তিনি লাইভ স্ট্রিমের সময় ওই ব্যক্তিকে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বিষোদগার করতে শোনেন। লোকটি আরো বলছিল তার কাছে বোমা আছে। ফ্রান্সিস বলেন, পরিস্থিতিটা ভীতিকর। আশা করি ভালোভাবেই এর অবসান ঘটবে।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।