ঐক্যতানে থাকা দুটি ইলেকট্রনকে আলাদা করতে গেলে দেখা যাবে, তাদের মধ্যে নাড়িরুজ্জুর মতো অদৃশ্য বন্ধনে সংযুক্ত। তাই একটি কণায় মৃদু ঝাঁকুনি দেওয়া হলে অন্য কণাটিও কোনো একভাবে বুঝতে পারে তার যমজ কণাটির কিছু ঘটেছে। এই বুঝতে পারার প্রক্রিয়াটি আলোর চেয়েও দ্রুত বেগে ঘটে। আইনস্টাইন প্রক্রিয়াটা পছন্দ করতে পারেননি। আসলে তিনি এটি ব্যবহার করে কোয়ান্টাম বলবিদ্যাকে অসার প্রমাণ করতে চেয়েছিলেন।
তবে আইনস্টাইন আসলে ভুল করেছিলেন। পরীক্ষাটি গবেষণাগারে চালিয়ে দেখা যায়। তবে শেষ হাসিটা কিন্তু হেসেছিলেন আইনস্টাইন। কারণ একসময় দেখা গেল, এভাবে ব্যবহারযোগ্য কোনো তথ্য পাঠানো যায় না। এতে তথ্য এলোমেলোভাবে স্থানান্তরিত হয়। তবে কিছু বিজ্ঞানী বলেন, আলোর চেয়ে কম বেগে গেলে কোয়ান্টাম টেলিপোর্টেশন হয়তো সম্ভব হতে পারে।
স্টার ট্রেকে সিনেমায় যে ধরনের টেলিপোর্টেশন দেখানো হয়, কোয়ান্টাম টেলিপোর্টেশন তার চেয়ে কিছুটা আলাদা। আমরা তথ্যকে এক বিন্দু থেকে আরেক বিন্দুতে পাঠানোর কথা বলছি। আর পরমাণু এবং ফোটনের ক্ষেত্রে এটা ঘটানো সম্ভব হয়েছে। আমরা কণাকে ১০০ ফুটের বেশি দূরে পাঠাতে পারি। কাজেই কোয়ান্টাম টেলিপোর্টেশন সম্ভব, তবে তা অতিপারমাণবিক পরিসরেই কেবল সম্ভব। স্টার ট্রেকের মতো কোনো ট্রান্সপোর্টার এখনো আমাদের কাছে নেই।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।