বস্টনভিত্তিক কোম্পানি AlterEgo একটি নতুন AI ডিভাইস উদ্ভাবন করেছে। এটি মানুষের মস্তিষ্কের সংকেত শনাক্ত করতে সক্ষম। এই ডিভাইসটি traditional ব্রেন-কম্পিউটার ইন্টারফেসের চেয়ে কম আক্রমণাত্মক। ব্যবহারকারীরা এটি পরিধান করে মনের কথা যন্ত্রের সাথে ভাগ করতে পারবেন।
এই ডিভাইসটি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ ব্যস্ত পরিবেশে কাজ করা ব্যক্তিদের জন্য। এটি বাকশক্তি হারানো মানুষদের জন্যও সহায়ক হতে পারে। MIT-এর ২০১৮ সালের একটি গবেষণাপত্রে এই প্রযুক্তির ধারণা প্রথম উপস্থাপন করা হয়।
টেলিপ্যাথিক AI ডিভাইস কীভাবে কাজ করে
AlterEgo ডিভাইসটি মস্তিষ্ক থেকে দেহের বাকপ্রণালীতে প্রেরিত সংকেত শনাক্ত করে। এটি surface electromyography (sEMG) প্রযুক্তি ব্যবহার করে। এই প্রযুক্তি দেহের পেশির সক্রিয়তা পড়তে পারে।
ডিভাইসটি বিশেষভাবে বাকপ্রণালীর সাথে সম্পর্কিত পেশিগুলো মনিটর করে। এটি audible speaking এবং subvocalization উভয়ই শনাক্ত করতে পারে। Subvocalization হলো সেই অভ্যন্তরীণ কথোপকথন যা আমরা পড়ার সময় বা শব্দ মুখে আনার সময় করি।
২০১৮ সালে এই সিস্টেমের accuracy ছিল ৯২ শতাংশ। বর্তমানে এটি আরও উন্নত হয়েছে বলে দাবি করা হয়। ডিভাইসটি পেশির চলাচলকে টেক্সট আউটপুটে রূপান্তর করে।
ব্রেন-কম্পিউটার ইন্টারফেস নয়
এই ডিভাইসটি traditional ব্রেন-কম্পিউটার ইন্টারফেস (BCI) নয়। বেশিরভাগ BCI মস্তিষ্কে ইমপ্লান্ট করার প্রয়োজন হয়। কিন্তু AlterEgo একটি surface-level ডিভাইস।
Synchron Switch-এর মতো non-invasive BCI-ও রয়েছে বাজারে। তবে AlterEgo সম্পূর্ণভাবে বাহ্যিকভাবে কাজ করে। এটি মস্তিষ্কে কোনো ইমপ্লান্ট ছাড়াই কার্যকর।
কোম্পানির সহ-প্রতিষ্ঠাতা Arnav Kapur সম্প্রতি X-এ একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন। তাতে তিনি ডিভাইসটির কার্যকারিতা প্রদর্শন করেছেন। তিনি দাবি করেছেন, এটি “near-telepathic wearable” হিসেবে কাজ করে।
ব্যবহারকারীদের জন্য সম্ভাবনা
এই ডিভাইসটি বিভিন্ন প্রকারের ব্যবহারকারীর জন্য উপযোগী হতে পারে। বিশেষ করে যারা উচ্চ শব্দের পরিবেশে কাজ করেন তাদের জন্য এটি সহায়ক। এটি বাকপ্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের যোগাযোগের ক্ষমতা ফিরিয়ে দিতে পারে।
ALS-এ আক্রান্ত রোগীদের জন্যও এই প্রযুক্তি উপকারী হতে পারে। আগের thought-to-speech ডিভাইসগুলো মূলত এই গ্রুপের জন্যই designed ছিল। কিন্তু AlterEgo wider audience-কে টার্গেট করছে।
ডিভাইসটি AI-কে মানুষের মনের extension হিসেবে উপস্থাপন করা হয়। ব্যবহারকারীরা এটি পরিধান করে thought-এর গতিতে টাইপ করতে পারবেন। এটি শুধু intended thoughts-ই process করবে।
বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন
এই ডিভাইসটির কার্যকারিতা নিয়ে কিছু প্রশ্ন রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা “near-telepathic” দাবির সত্যতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। ডিভাইসটির technical details এখনও সীমিত।
কোম্পানির marketing claims কিছু বিশেষজ্ঞের মধ্যে skepticism তৈরি করেছে। Reuters এবং Bloomberg-এর মতো সংবাদ মাধ্যম এখনও এই প্রযুক্তি verify করেনি। আরও independent testing প্রয়োজন।
তবে Kapur এবং তার টিম MIT-এ তাদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। তারা several breakthroughs-এর কথা দাবি করেছেন। সেপ্টেম্বর ২০২৫-এ তারা তাদের অগ্রগতি ঘোষণা করার পরিকল্পনা করেছে।
এই নতুন টেলিপ্যাথিক AI ডিভাইস যোগাযোগের ক্ষেত্রে বিপ্লব আনতে পারে। এটি মানুষের সাথে যন্ত্রের interaction-কে সম্পূর্ণ নতুন level-এ নিয়ে যাবে। বিশেষ প্রয়োজনে এই প্রযুক্তি জীবন পরিবর্তনকারী ভূমিকা রাখতে পারে।
জেনে রাখুন-
Q1: টেলিপ্যাথিক AI ডিভাইস কী?
এটি একটি wearable ডিভাইস যা মস্তিষ্কের সংকেত শনাক্ত করে। এটি মনের কথা টেক্সটে রূপান্তর করতে পারে।
Q2: এই ডিভাইসটি কীভাবে কাজ করে?
এটি surface electromyography প্রযুক্তি ব্যবহার করে। এটি বাকপ্রণালীর পেশির সক্রিয়তা মনিটর করে।
Q3: এই ডিভাইসটি কাদের জন্য উপযোগী?
বাকপ্রতিবন্ধী ব্যক্তি এবং ব্যস্ত পরিবেশে কাজ করা পেশাজীবীদের জন্য উপযোগী। ALS রোগীদের জন্যও সহায়ক।
Q4: ডিভাইসটির accuracy কত?
২০১৮ সালে accuracy ছিল ৯২ শতাংশ। বর্তমানে এটি আরও উন্নত হয়েছে বলে দাবি করা হয়।
Q5: এই প্রযুক্তি কতটা বিশ্বাসযোগ্য?
দাবিগুলো verify করার জন্য আরও testing প্রয়োজন। বিশেষজ্ঞরা কিছু claims নিয়ে skeptical।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।