স্পোর্টস ডেস্ক : ম্যাচের আগের সংবাদ সম্মেলনে হেড কোচ রাসেল ডোমিঙ্গোর কথায় আভাস মিলেছিল, হয়তো প্রথম দুই ম্যাচের অপরিবর্তিত একাদশ নিয়েই শেষ ম্যাচটি খেলতে নামবে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। তবে অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে অন্তত ২টি পরিবর্তন আনতেই হবে টাইগার একাদশে। দুটিতেই অবশ্য রয়েছে ইনজুরির থাবা।
শনিবার দলের সঙ্গে অনুশীলন করেননি মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ও মোস্তাফিজুর রহমান। প্রথম দুই ম্যাচের একাদশে থাকা অফস্পিনিং অলরাউন্ডার মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত এবং বাঁহাতি পেসার মোস্তাফিজুর রহমান।
দলের সঙ্গে অনুশীলনের শুরুতে মোস্তাফিজ রানিং করলেও মোসাদ্দেক ড্রেসিংরুম থেকে নিচে নামেননি। কুচকির চোটে বিশ্রামে ছিলেন এ স্পিনিং অলরাউন্ডার। অন্যদিকে গোড়ালির পুরনো সমস্যা বাড়ায় অনুশীলনে ছিলেন না মোস্তাফিজ। রবিবার শেষ টি-টোয়েন্টিতে তাদের দুজনকে পাওয়া যাবে কি না- তা নিশ্চিত করতে পারেনি দল সংশ্লিষ্ট কেউ।
তবে দুজনের কারোই একাদশে থাকা নিয়ে ছিলো না কোনো সংশয়। ইনজুরিজনিত সমস্যা না দেখা দিলে এ প্রশ্নও উঠতো না। কিন্তু মোসাদ্দেকের কুচকির চোট ভাবাচ্ছে টিম ম্যানেজম্যান্টকে। শেষপর্যন্ত তার জন্য অপেক্ষা করবে দল। ফিজিও সবুজ সংকেত দিলেই কেবল আজকের অঘোষিত ফাইনাল ম্যাচে দেখা যেতে পারে মোসাদ্দেককে।
অন্যথায় পুরো সিরিজে প্রথমবারের মতো সুযোগ পাবেন মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ মিঠুন। এক্ষেত্রে স্পিন বোলিং অপশন একটি কমে যাবে টাইগারদের। তবে দুই ম্যাচে খুব বেশি বল করেননি মোসাদ্দেক। এর মধ্যে আবার দ্বিতীয় ম্যাচে মাত্র ১ ওভারেই হজম করেছেন ২১ রান। তাই ইনজুরির সমস্যা ঠিক না হলে তার বদলে মিঠুনকে দলে নেয়ার কথাই ভাবছে দল।
এক পেসার ও স্পিনিং অলরাউন্ডারের বদলে টাইগার একাদশে আসতে যাচ্ছেন এক মিডলঅর্ডার ব্যাটসম্যান ও এক বাঁহাতি স্পিনার। সবমিলিয়ে শেষ ম্যাচে বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ:
লিটন কুমার দাস, নাইম শেখ, সৌম্য সরকার, মুশফিকুর রহীম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, আফিফ হোসেন ধ্রুব, মোহাম্মদ মিঠুন, আমিনুল ইসলাম বিপ্লব, তাইজুল ইসলাম, আলআমিন হোসেন, মোস্তাফিজুর রহমান/শফিউল ইসলাম।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।