আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প করোনায় আক্রান্ত হওয়ার আগে তাদের যে ঘনিষ্ঠ উপদেষ্টা নতুন রোগটির কবলে পড়েন তিনি কখনো মডেলিং করেছেন। কখনো করেছেন সাংবাদিকতা। এরপর প্রেসিডেন্টের বড় মেয়ে ইভাঙ্কা ট্রাম্পের মাধ্যমে হোয়াইট হাউজে পা রাখেন।
বিবিসি জানিয়েছে, হোপ মার্কিন গণমাধ্যমের কাছে খুব একটা পরিচিত মুখ নন। ৩১ বছর বয়সী এই সুন্দরী বরাবরই নিজেকে আলোচনার বাইরে রেখেছেন।
হোপ ২০১৭ সালে অ্যান্টনি স্কারামুচির জায়গায় নতুন কমিউনিকেশনস ডিরেক্টর হিসেবে যোগ দেন। রাজনীতির কোনো অভিজ্ঞতা না থাকলেও গত কয়েক বছর ধরে ট্রাম্প পরিবারের সঙ্গে আছেন তিনি।
হোপ হিকস ইভাঙ্কার ফ্যাশন কোম্পানি দিয়ে ক্যারিয়ার শুরু করেন। সেখানে থাকা অবস্থায়ই কয়েকটি ম্যাগাজিনে মডেল হিসেবে কাজ করেন। ইভাঙ্কার পোশাক কোম্পানির জন্যও মডেলিং করেছেন তিনি।
ইভাঙ্কার সঙ্গে কাজ করতে করতে এক সময় ট্রাম্পের নজরে আসেন হোপ। ২০১৪ সালে ট্রাম্প ব্যক্তিগত ক্ষমতায় হোপকে নিজের রিয়েল স্টেট কোম্পানির পিআর হিসেবে নিয়োগ দেন। এরপর ট্রাম্পের প্রস্তাবে সাড়া দিয়ে রাজনৈতিক কর্মী হয়ে যান।
হোপ হিকস সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে খুব একটা কথা বলেন না। ট্রাম্প সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে আসলেই কেবল তার দেখা মেলে।
ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর হোপের জন্য নতুন পদ সৃষ্টি করেন: কমিউনিকেশনস বিভাগের হোয়াইট হাউজ ডিরেক্টর।
বিবিসি বলছে, হোপ কখনো ট্রাম্পকে পরিবর্তনের চেষ্টা করেননি। বরং প্রেসিডেন্ট যা চেয়েছেন তাই করতে উৎসাহ দিয়ে গেছেন।
রাজনৈতিক ওয়েব পত্রিকা পলিটিকো জানিয়েছে, ট্রাম্পের পরিবারের যেকজন বিশ্বস্ত মানুষ আছেন আমেরিকায় হোপ তাদেরই একজন।
কংগ্রেসের কাছে সাক্ষ্য দিয়ে হোপ ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে পদত্যাগ করেন। এরপর ফক্স নিউজে কিছুদিন কাজ করেন। পরে চলতি বছরের শরুতে আবার ট্রাম্পের টিমে যোগ দেন।
এবার যখন তুমুল আলোচনায় আসলেন, তখন ট্রাম্পের করোনা আক্রান্ত হওয়ার জন্য দায়ী করা হচ্ছে তাকে!
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।