যুক্তরাষ্ট্র নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর সঙ্গে বিশেষভাবে আলোচনায় ছিলেন বিশ্বমাতানো পপরাজকুমারী টেইলর সুইফট। কমলার বদলে ট্রাম্প জিতে যাওয়ায় কি বেকায়দায় পড়তে হবে এই প্রভাবশালী তারকাকে? মার্কিন প্রভাবশালী তারকা টেইলর সুইফটের নিজের গুরুত্বপূর্ণ সময় আর শক্তি বিনিয়োগ করে কমলা হ্যারিসকে সমর্থন রাজনৈতিকভাবে ট্রাম্পের বিরোধী করে তুলেছে তাঁকে। ট্রাম্প তাঁর প্রচারণা র্যালি ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরাসরি জানিয়েছেন এই শিল্পীকে ঘৃণার কথা।
এই দ্বন্দ্ব আরও আলোচনায় আসে যখন নির্বাচনের আগে সুইফটের ফ্লোরিডার ইরাস ট্যুরে একটি উড়োজাহাজকে ট্রাম্পের ব্যানার নিয়ে উড়তে দেখা যায়। সেখানে লেখা ছিল ট্রাম্প ২০২৪ রেডি ফর ইট, ক্যাট লেডি? । প্রচারণার এই উত্তেজনা নানা দ্বন্দ্বে কাটলেও নির্বাচনে ট্রাম্প জিতে যাওয়ার পর এই দুইজনের সম্পর্ক কেমন হবে তা নিশ্চিত বলা যাচ্ছে না। এদিকে এখনো টেইলরকে নির্বাচনী প্রতিক্রিয়া জানাতে দেখা যায়নি।
শুধু তারকা আখ্যায় ব্র্যাকেটবন্দী না হয়ে, সমসাময়িক সামাজিক ও রাজনৈতিক বিভিন্ন বিষয়ে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করে টেইলর সুইফট পরিণত হয়েছেন একজন অধিকারকর্মী হিসেবে। ২০২৪ এর এবারের নির্বাচনে এই খ্যাতিমান তারকা যতভাবে সম্ভব কমলা হ্যারিসকে সমর্থন করেছেন।
১০ সেপ্টেম্বর ট্রাম্প ও হ্যারিসের নির্বাচনী বিতর্ক শেষে টেইলর তাঁর ইন্সটাগ্রাম থেকে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হ্যারিসকে সমর্থন করে সাড়া জাগানো এক পোস্ট করেন। সেদিন বিতর্কে আলোচনার বিষয় ছিল গর্ভপাত, অভিবাসন, অর্থনীতি ও পররাষ্ট্রনীতি।
এরই রেশ ধরেই ট্রাম্প পাল্টা পোস্ট করেন। যেখানে তিনি স্পষ্ট করেই লিখেন ‘ আমি টেলর সুইফটকে হেট করি’। তারপর নিজের সর্বশেষ কনসার্টেও টেইলর কমলার সমর্থনেই কথা বলেছেন। এই বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও তিনি ছিলেন সরব। তবে সম্প্রতি নির্বাচনের ট্রাম্প জিতে যাওয়ার পর এই তারকা এখনও মুখ না খোলায় সকলের মনে অনেক প্রশ্ন জাগছে। সুইফটিরা মানে টেইলর সুইফটের পাগল ভক্তরা অনেকেই ভাবছেন হয়তো পুরো বিষয়টি নিয়ে আরও ভেবে ধীরে সুস্থে কিছু বলবেন টেলর। আর অনেকে ভাবছেন রিপাবলিকানের এই জয়ে তাঁর প্রতিক্রিয়া গোপনই রাখবেন পপরাজকুমারী।
এদিকে আমেরিকার বিখ্যাত কৌতুক অভিনেতা জিমি কিমেল তাঁর বুধবারের লাইভ শোতে বলেন আমার শুধু একটাই অনুরোধ আমাকে যেন টেইলর সুইফটের সঙ্গে একই জেলে রাখা হয়। এর আগে জিমি এই মঙ্গলবারকে তাঁর, সকল পরিশ্রমী নাগরিক ও যাঁরা ট্রাম্পের বিপক্ষে মত দিয়েছেন, তাঁদের সবার জন্য সবচেয়ে খারাপ দিন হিসবে উল্লেখ্য করেন।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সাল থেকেই বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী নারী সঙ্গীতশিল্পী টেইলর সুইফট ডেমোক্র্যাট প্রার্থীদের সমর্থন করে আসছেন। ২০২০ সালেও তিনি ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমালোচনা করে জো বাইডেনকে সমর্থন দেন। আমেরিকার সাম্প্রতিক সময়ে সবচেয়ে জনপ্রিয় ও ভালোবাসা পাওয়া শিল্পী টেইলর সুইফট। তাঁর রাজনৈতিক অবস্থানের প্রভাব তরুণ জেনারেশনকে প্রভাবিত করবে এমনই চিন্তা করেছিল সবাই। কিন্তু বাস্তবতায় ঘটল ভিন্ন ব্যাপার। তাঁর আহ্বানের যে প্রভাব যুক্তরাষ্ট্র নির্বাচনে পড়বে বলে সবাই ভেবেছিল সেই প্রতিফলন চোখে পড়েনি আসলে। আর টেইলর-হেটার ট্রাম্পই নির্বাচনে শেষ হাসি হেসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর টেইলরের সামনে কী আছে সে নিয়ে অনেক জল্পনা কল্পনা চলছে সকলের মনেই।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।