জুমবাংলা ডেস্ক : ২৫ নভেম্বর সোমবার সকাল ৭টা ৩৬ মিনিটে বগুড়া রেলস্টেশন থেকে সাগর মাহমুদ নামে এক ব্যক্তি উদ্বিগ্ন হয়ে জাতীয় হেল্পলাইন ৯৯৯ নম্বরে কল করে জরুরি উদ্ধার সহায়তা চান। তিনি বগুড়া রেলস্টেশনের কর্মী বলে পরিচয় দেন।
এর আগে সকাল সোয়া ৭টায় ঢাকা থেকে লালমনিরহাটগামী লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেনটি স্টেশনে এসে থামে। সেই ট্রেনেই সন্তানের জন্ম দেন এক মা। এরপর কিছু যাত্রী ওই নবজাতক ও প্রসূতিকে স্টেশনে নামিয়ে দেন এবং তারা যে যার মতো চলে যান। কিন্তু প্রসূতি ওই নারীর শারীরিক অবস্থা ছিল গুরুতর। রক্তক্ষরণ হচ্ছিল এবং অচেতন অবস্থায় ছিলেন তিনি।
এমন সময় সেখানে অবস্থান করছিলেন স্টেশনের কর্মী সাগর মাহমুদ। প্রসূতি ওই নারী ও সন্তানের এমন অবস্থা দেখে তার মনে হলো জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ এর কথা তিনি অনেক শুনেছেন, তো সেখানে একবার ফোন করে দেখা যাক। এ চিন্তা করেই তিনি ৯৯৯ এ ফোন করেন।
৯৯৯ তাৎক্ষণিকভাবে ওই ব্যক্তিকে বগুড়া ফায়ার স্টেশনের সঙ্গে কথা বলিয়ে দেন এবং দ্রুত উদ্ধারের ব্যবস্থা নেয়ার জন্য অনুরোধ জানান।
সংবাদ পেয়ে বগুড়া ফায়ার স্টেশনের একটি উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে গিয়ে পৌঁছায়। পরবর্তীতে বগুড়া ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকারী দল ৯৯৯ কে জানায়, তারা অসুস্থ প্রসূতি নারী মোছা. রুবিয়া খাতুন (২৮) ও তার নবজাতক ছেলে সন্তানকে উদ্ধার করে বগুড়া জিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে দিয়েছেন। তাদের বাড়ি লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার তেঁতুলিয়া গ্রামে।
রুবিয়া খাতুন ঢাকা থেকে লালমনিরহাটের উদ্দেশ্যে ট্রেনে যাত্রা করেছিলেন। প্রসূতি মা ও সন্তান এখন সুস্থ আছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।