জুমবাংলা ডেস্ক : চিকিৎসার জন্য কুষ্টিয়া থেকে কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস ট্রেনে রাজশাহী এসেছিলেন আবদুল কুদ্দুস ওরফে রাজন (৫৫)। কিন্তু ট্রেন থেকে স্টেশনে নেমেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন তিনি।
বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টায় রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনের ২নং প্ল্যাটফরমে এ ঘটনা ঘটে।
জিআরপি পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মৃত আবদুল কুদ্দুসের বাড়ি কুষ্টিয়া সদর উপজেলার নাজিরপুর গ্রামে। ছেলে এবং মেয়ের সঙ্গে তিনি কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস ট্রেনে কুষ্টিয়া থেকে রাজশাহীতে আসেন। প্ল্যাটফর্মে লুটিয়ে পড়ার পর তার ছেলে-মেয়েরা লাশ নিয়ে বিপাকে পড়েন।
মৃতের স্বজনদের অভিযোগ, এ সময় অনুরোধ করলেও স্টেশন কর্তৃপক্ষ তাদের অ্যাম্বুলেন্স দিয়ে লাশ হাসপাতালে নিয়ে যেতে রাজি হয়নি। পরে রাজশাহী রেলওয়ে থানা পুলিশ লাশটি অটোরিকশায় করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পাঠায়। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক আবদুল কুদ্দুসকে মৃত ঘোষণা করেন।
কুদ্দুসের করোনার কোনো উপসর্গ ছিল না বলে জানিয়েছেন তার স্বজনরা। তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন কয়েকদিন আগে।
রাজশাহী রেলওয়ে থানার ওসি মো. শাহ কামাল বলেন, আবদুল কুদ্দুস হার্টের রোগী ছিলেন বলে তার ছেলে-মেয়েরা জানিয়েছেন। চিকিৎসা করানোর জন্য তাকে রাজশাহী আনা হয়েছিল। রাজশাহীতে ট্রেন থেকে নেমেই প্ল্যাটফর্মে মাথা ঘুরে তিনি পড়ে যান। ধারণা করা হচ্ছে সেখানেই তার মৃত্যু ঘটে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।