বিনোদন ডেস্ক : বসে বসে অনেক সয়েছেন। এবার উত্তর দেওয়ার পালা। নিজে মাথা খাটিয়ে নতুন গান বানানোর বদলে পুরনো গানগুলিকে রিমিক্স করে নতুন রূপ দেওয়ার জন্য প্রায়ই ট্রোলড হন নেহা কক্কর। সম্প্রতি ফাল্গুনী পাঠকের গাওয়া নব্বইয়ের দশকের অত্যন্ত জনপ্রিয় গান ‘ম্যায়নে পায়েল হ্যায় ছনকাই’ এর রিমিক্স সংষ্করণ বের করেছেন তিনি। নাম দিয়েছেন ‘ও সজনা’। আর এর জন্যই ট্রোলড হয়ে চলেছেন নেহা।
পুরনো দিনের সুন্দর গানগুলোকে বেছে বেছে রিমেক বানান নেহা। এই করে ছোটবেলার স্মৃতিগুলো নষ্ট করে দিচ্ছেন তিনি, এমন অভিযোগও উঠেছে গায়িকার বিরুদ্ধে। এমনকি নেহার রিমেক গান নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন আসল গানটির গায়িকা ফাল্গুনী পাঠকও। এবার সমালোচনার জবাব দিতে মুখ খুললেন নেহা। আর সেই সঙ্গে এক রকম অপমান করলেন ফাল্গুনী সহ নেটিজেনদের।
সোশ্যাল মিডিয়ায় নেহা লিখেছেন, ‘আমি জীবনে যা পেয়েছি তা খুব কম মানুষই পায়। তাও আবার এত কম বয়সে। এত খ্যাতি, ভালবাসা, অগুন্তি সুপার ডুপার হিট গান, সুপার হিট টিভি শো, ওয়ার্ল্ড ট্যুর, ছোট বাচ্চা থেকে ৮০-৯০ বছর বয়সী ভক্ত আরো কত কী! জানেন এসব আমি কীভাবে পেয়েছি, আমার প্রতিভা, পরিশ্রম, প্যাশন আর ইতিবাচকতা দিয়ে। তাই আজ আমি ঈশ্বর আর আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ জানাতে চাই আজ আমি যা তাই বানানোর জন্য। ধন্যবাদ! আমি ঈশ্বরের সবথেকে আশীর্বাদধন্য সন্তান। সবার জীবন সুখে কাটুক।’
এরপরেই কটাক্ষের সুরে নেহা লেখেন, ‘আর যারা আমাকে খুশি আর সফল দেখে এত অখুশি, তাদের জন্য আমার দুঃখ হয়। বেচারা, কমেন্ট করে যাও। আমি ডিলিটও করব না। কারণ আমি জানি এবং সবাই জানে নেহা কক্কর কী!’
এখানেই থামেননি গায়িকা। রীতিমতো বিদ্রূপ করে তিনি লিখেছেন, ‘যদি এমনভাবে কথা বলে, আমার সম্পর্কে এত খারাপ কথা বলে, আমাকে গালাগালি দিয়ে ওদের ভাল লাগে আর ওরা ভাবে যে এতে আমার দিনটা নষ্ট হয়ে যাবে- তাহলে আমার বলতে খারাপ লাগছে, আমি এতটাই আশীর্বাদধন্য যে খারাপ দিন আমার আসে না। আমি ঈশ্বরের সন্তান হয়ে সবসময় খুশি থাকি, কারণ তিনি নিজেই আমাকে খুশি রাখেন।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।