বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক: নাসার জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের নজরদারিতে ধরা পড়ল নয়া গ্রহের অস্তিত্ব।
সৌরজগতে একমাত্র পৃথিবীতেই প্রাণের অস্তিত্ব রয়েছে, নাকি মহাশূন্যের অতলে এমন দুনিয়া রয়েছে আরও একটি, এই প্রশ্ন নতুন নয়। যুগ যুগ ধরে তা নিয়ে চলছে অনুসন্ধান।
আবার পৃথিবীর বাইরে কোথাও প্রাণধারণের উপযোগী পরিবেশ গড়ে তোলার সম্ভব কিনা, তা নিয়েও চলছে পরীক্ষা-নিরীক্ষা। বিশ্বের তাবড় ধনকুবের সেই অসাধ্য সাধনে যাবতীয় ধন-সম্পত্তি পর্যন্ত লুটিয়ে দিতে প্রস্তুত।
এ সবের মধ্যেই ফের চমকপ্রদ অবিষ্কার সামনে আনল আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। আমাদের সৌরজগতের বাইরে, চন্দ্র-সূর্য-পৃথিবীর থেকে দূরে একটি এক্সোপ্ল্যানেটের সন্ধান পেল তারা, অর্থা আমাদের সৌরজগতের বাইরে অন্য একটি নক্ষত্রকে প্রদক্ষিণ করে চলা গ্রহের সন্ধান মিলল।
নাসার জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপে ওই গ্রহটির দর্শন মিলেছে বলে জানা গিয়েছে। আপাতত সেটিকে LHS 475 b নামে চিহ্নিত করেছেন বিজ্ঞানীরা।
আমাদের সৌরজগতের বাইরে ওই LHS 475 b গ্রহটিও একটি নক্ষত্রকে প্রদক্ষিণ করে চলেছে বলে জানা গিয়েছে। সেটির আয়তনও প্রায় পৃথিবীরই সমান বলে জানা গিয়েছে। জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটি অ্যাপ্লায়েড ফিজিক্স ল্যাবরেটরির কেভিন স্টিভেনসন এবং জেকব লাস্টিগ-ইয়েগের এই অনুসন্ধানে নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
নাসা জানিয়েছে। প্রথমে ট্রানজিটিং এক্সোপ্ল্যানেট সার্ভে স্যাটেলাইটের মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ চলছিল। তাতেই আমাদের সৌরজগতের বাইরের ওই গ্রহের ব্যাপারে ইঙ্গিত মেলে। তার পরই জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ দিয়ে নজরদারি শুরু হয়।
তবে আপাতত যে তথ্য সামনে এসেছে, সেই অনুযায়ী গ্রহটির ভূমি মূলত পাথুরে। তবে এই আবিষ্কারের ফলে গবেষণার কাজে আরও সুবিধা হবে বলে জানিয়েছে নাসা। এর ফলে মহাশূন্যে থাকা অন্য পাথুরে গ্রহগুলি সম্পর্কেও প্রাথমিক ধারণা মিলতে পারে বলে আশাবাদী তারা।
ওয়াশিংটনে নাসার সদর দফতরের জ্যোতির্পদার্থবিদ্যা বিভাগের ডিরেক্টর মার্ক ক্ল্যাম্পিন বলেন, ‘‘আমাদের সৌরজগতের বাইরে পৃথিবীর মতোই অন্য জগৎ রয়েছে কিনা, সেই সম্পর্কে নয়া ভাবনার উন্মেষ ঘটাচ্ছে ওয়েব টেলিস্কোপ। সবে অভিযান শুরু হল।’’
তবে ওই গ্রহের বায়ুমণ্ডল কেমন, তা এখনও পর্যন্ত জানা সম্ভব হয়নি। তবে বিজ্ঞানীদের অনুমান, ওই গ্রহের পরিবেশে মিথেনের আধিক্য অত্যন্ত বেশি, ঠিক যেমন শনির উপগ্রহ টাইটানের। আবার কারও কারও মতে, ওই গ্রহে কোনও বায়ুমণ্ডলই না থাকতে পারে। হতে পারে শুধু কার্বন ডাই অক্সাইড রয়েছে। কারণ বায়ুমণ্ডলের ১০০ শতাংশ জুড়ে কার্বন ডাই অক্সাইড থাকলে, দূর থেকে তার সন্ধান পাওয়া দুষ্কর বলে মত বিজ্ঞানীদের।
তবে এখনও পর্যন্ত যে বিষয়টি আশা জোগাচ্ছে বিজ্ঞানীদের, তা হল, ওই গ্রহের তাপমাত্রা পৃথিবীর চেয়ে সামান্য বেশি। মেঘের দেখা মিললে। সেটির তুলনা টানা হতে পারে বৃহস্পতির সঙ্গে। কারণ বৃহস্পতিও কার্বন ডাই অক্সাইডে ঢাকা। তবে পৃথিবীর মতো এক বছরে নয়, মাত্র দু’দিনে ওই গ্রহটি লাল রংয়ের একটি বামন নক্ষত্রকে প্রদক্ষিণ করে বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। সৌরজগতের অন্য গ্রহের তুলনায় ওই গ্রহ নক্ষত্রের একেবারে কাছাকাছি বলে মনে করা হচ্ছে।
রাস্তায় দৌড়বে, আকাশেও উড়বে; বাজারে এলো বিশ্বের প্রথম উড়ন্ত গাড়ি
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।