চট্টগ্রাম প্রতিনিধি: চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় নলুয়ার পূর্ব গাটিয়াডেঙ্গা ডলু নদীর ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ ও বিভিন্ন স্থানে ভাঙন পরিদর্শন করেছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী তয়ন কুমার ত্রিপুরা।
বৃহস্পতিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) ডলু নদী ও হাঙ্গর খালের ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শনে যান তিনি। এ সময় স্থানীয়রা ভাঙনের কবলে পড়ে তাদের দুর্দশার বর্ণনা দেন।
পরিদর্শনের সময় সাথে ছিলেন সাংবাদিক মিজানুল ইসলাম, উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী অপু দেব, উপ সহকারী প্রকৌশলী ধীমান চৌধুরী।
স্থানীয়রা জানান, ডলু নদীর ভাঙনে হাঙ্গরমুখ বাজারের ইবাদতখানা ও অসংখ্য দোকান বিলীন হয়ে গেছে। অনেকেই বাড়িভিটি ও ফসলী জমি হরিয়েছেন। এ অবস্থায় স্থানীয় শিল্পপতি কেএসআরএমের কর্ণধার মোহাম্মদ শাহজাহান এগিয়ে আসেন দুই দশক আগে। তখন তিনি কয়েক কোটি টাকা ব্যয়ে ব্যক্তিগত উদ্যোগে ডলু নদীর বিশাল এলাকাজুড়ে বেড়িবাঁধ নির্মাণ করে অসংখ্য মানুষের বসত বাড়ি, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও বাজার রক্ষা করেন।
তারা আরও জানান, সম্প্রতি বেড়িবাঁধের নীচের মাটি সরে গেছে। বেড়িবাঁধের কোথাও কোথাও দেখা দিয়েছে ধস। এ অবস্থায় বর্ষা মৌসুমে বেড়িবাঁধ ধসে বড় ধরণের ক্ষয়ক্ষতির আশংকা রয়েছে। ১৮ নং দক্ষিণ গাটিয়া ডেঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ও এখন ভাঙনের মুখে। তাই স্থানীয়দের জোর দাবী বাঁধের ক্ষতিগ্রস্ত অংশ মেরামতের। ভাঙনরোধে দ্রুত উদ্যোগ নেওয়ার। তা না হলে অনেকেই পূর্বপুরুষের ভিটাবাড়ি হারিয়ে গৃহহারা হয়ে পড়বেন বলেও জানান পরিদর্শনে আসা প্রকৌশলীদের।
নির্বাহী প্রকৌশলী তয়ন কুমার ত্রিপুরা বলেন, ডলু নদীর ভাঙন রোধ করা সম্ভব হবে না যদি অবৈধভাবে ড্রেজারের মাধ্যমে বালি তোলা বন্ধ না হয়। এজন্য এলাকাবাসীর সচেতনতা সবচেয়ে জরুরি। কারণ বাইরের কেউ এসে এখানে বালি তোলেন না। যে বা যারা তোলছে তারা নিশ্চয় স্থানীয়। সুতরাং বাইরের কারো পক্ষে তাদের প্রতিরোধ করাও অসম্ভব। তাই এগিয়ে আসতে হবে স্থানীয়দের। তাদের প্রতিহত করা গেলে ভাঙনের ব্যাপকতা কমবে। রক্ষা পাবে বাপ দাদার ভিটামাটি। কাজ করা যাবে ভাঙনরোধে; এবং তা হবে টেকসই। না হয় ভাঙনরোধে কাজ করা আর না করা একই কথা।
অসাধু বালু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলে প্রতিহত করা প্রয়োজন বলেও মন্তব্য করেন নির্বাহী প্রকৌশলী।
তিনি আরও বলেন, ব্যস্থতার মাঝেও সাংবাদিক ভাইয়ের অনুরোধ রক্ষা করার জন্য আমি হঠাৎ এই এলাকা পরিদর্শনে এসেছি। এসে দেখে গেলাম ভাঙনের প্রকৃত অবস্থা। যা আমাদের করণীয় নির্ধারণে সহায়ক হবে। তিনি ভাঙনরোধে টেকসই ও বাস্তবসম্মত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেন স্থানীয়দের।
এ সময় স্থানীয়দের মধ্যে ছিলেন সমাজসেবক আবদুল শুক্কুর, আজিজুর রহমান বাচা, আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল নবী, আবদুল আজীজ, যুবলীগ নেতা আবু জাফর, শাকিল আহমেদ, মোরশেদুল আলম, মামুনুল ইসলাম, সেলিম উদ্দিন, আবু ছৈয়দ, জাবেদ, জাহেদ, সাইফু প্রমুখ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।