জুমবাংলা ডেস্ক : ডাকাত আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কেটেছে বাগেরহাটের শরণখোলা ও মোরেলগঞ্জ উপজেলা চারটি ইউনিয়নের ৬৩টি গ্রামের মানুষের। রবিবার দিবাগত রাতে দুই উপজেলার সীমান্তবর্তী শরণখোলার খোন্তাকাটা ও ধানসাগর এবং মোরেলগঞ্জের খাউলিয়া ও নিশাবাড়িয়া ইউনিয়নের মানুষের মাঝে ফেসবুক ও মোবাইল ফোনের মাধ্যমে অস্ত্রধারী ডাকাত দল গ্রামে ঢুকে পড়ার খবর ছড়িয়ে পড়ে।
এর পর রাত সাড়ে ১১টার দিকে গ্রামের বিভিন্ন মসজিদের মাইক থেকে গ্রামবাসীকে শতর্ক করে ডাকাত প্রতিহত করতে গ্রাম ও বাজার পাহারা দেওয়ার ঘোষণা আসে। এই ঘোষণার পর থেকে গ্রামবাসী লাঠিসোটা নিয়ে দলে দলে পাহারায় নেমে পড়ে।
এদিকে, পুলিশ বলছে, বিষয়টি সম্পূর্ণ গুজব। ডাকাত আসার বিষয়ে কোনো তথ্য প্রমাণ পাওয়া যায়িনি। তবে, গত দুদিন আগে (শনিবার) মোরেলগঞ্জের চিপা বারইখালী এলাকায় এক বাড়িতে গ্রিল কেটে ডাকাতি ও গৃহবধূ ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। সেই ঘটনায় মানুষের মাঝে আতঙ্ক কাজ করায় কেউ এমন গুজব রটিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
একাধিক সূত্রের বরাত দিয়ে শরণখোলার খোন্তাকাটা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. তাজু সরদার জানান, রাত ১১টার দিকে এক ভ্যানচালক মোরেলগঞ্জ উপজেলার খাউলিয়া ইউনিয়নের পথের বাজার নামক এলাকা থেকে বাড়ি যাওয়ার সময় একটি পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে ১০-১২ জন অস্ত্রধারী লোক বের হতে দেখেন। ওই ভ্যানচালক বাড়িতে ফিরে ঘটনাটি লোকজনকে জানান। মুহূর্তের মধ্যে বিষয়টি ফেসবুক ও মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। তার ইউনিয়নের প্রায় ১৬টি গ্রামের মানুষ সারা রাত গ্রাম ও বাজার পাহারা দিয়েছেন।
জানেরপাড় গ্রামের বাসিন্দা নূর হোসেন বাচ্চু জানান, তারা প্রায় ৩০-৪০ জন মিলে লাঠিসোটা নিয়ে গ্রাম পাহারা দিয়েছেন।
ধানসাগর ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামা স্বপন জানান, ফেসবুকে ডাকাত আসার খবর পেয়ে গ্রামের মানুষের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে তারা ৪০-৫০ জন মিলে সারা রাত গ্রাম পাহারায় ছিলেন। তার ইউনিয়নের ১৭টি গ্রামের মানুষ রাত জেগে পাহারা দিয়েছেন।
মোরেলগঞ্জ উপজেলার গণমাধ্যম কর্মী জামাল হোসেন বাপ্পা জানান, তাদের দুই ইউনিয়নের কমপক্ষে ৩০টি গ্রামের মানুষের নির্ঘুম রাত কেটেছে। গত শনিবারের ডাকাতির ঘটনার পর আবার ডাকাত আসার খবরে মানুষ আরো আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। সবাই রাত জেগে গ্রাম ও হাট-বাজার পাহারা দিয়েছে।
এ বাপারে শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইদুর রহমান জানান, ডাকাত আসার খবর শোনার পর পুলিশ টহলে নেমে পড়ে। কিন্তু ডাকাত আসার কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। এটি সম্পূর্ণ গুজব। গ্রামবাসীর সঙ্গে পুলিশও সারা রাত পাহারা দিয়েছে। এখন থেকে পুলিশি টহল আরো জোরদার করা হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।