জুমবাংলা ডেস্ক: সিরিয়াল কিলারের কথা শুনলেই প্রথমেই সবার মাথায় আসে জ্যাক দি রিপারের কথা। যে কিনা তৎকালীন সময়ে লন্ডনের হোয়াইট চ্যাপেলের এক আতংকের নাম। বেছে বেছে যৌনকর্মীদের খুন করতেন তিনি। খুবই নৃশংস ছিল তার হত্যার ধরণ। কে ছিল সেই জ্যাক দ্য রিপার, তা আজো ধোঁয়াশা।
যদিও সন্দেহের বশে পুলিশ অনেককেই জ্যাক দ্য রিপারের তকমা দিয়েছে। বিনা দোষে হয়তো অনেকে শাস্তিও পেয়েছে। তবে সে যাই হোক, পরবর্তিতে বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় এমন অনেক সিরিয়াল কিলারের তালিকায় রয়েছে অনেকের নাম। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক তেমনই কয়েকজন সিরিয়াল কিলার সম্পর্কে-
পেড্রো আলনসো লোপেজ
পেড্রো হলেন একজন কলম্বিয়ান সিরিয়াল কিলার। দক্ষিণ আমেরিকায় ৩০০-এর বেশি নারীকে নৃশংস ভাবে ধর্ষণ করে খুন করেছেন এই ঘাতক। বহু ছক কষার পরেই পুলিশ পাকড়াও করে এই ভয়ঙ্কর খুনীকে। ধরা পড়ার পরেই সে কবুল করে খুনের কথা। পরে তার জবানবন্দির উপর ভিত্তি করে ৫৩টি মৃতদেহও খুঁজে পায় পুলিশ। ১৯৮০ সাল থেকে জেলে রয়েছে এই খুনী। ১৮ বছর ইকোয়াডোরিয়ান জেলে থাকার পর তাকে কলম্বিয়া পাঠানো হয়। আর সেখানেই ২০০২ সালে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়।
হ্যারল্ড শিপম্যান
কুখ্যাত সিরিয়াল কিলারদের মধ্যে ইতিহাসের পাতায় খোদাই করা রয়েছে এই চিকিত্সকের নাম। ২৫০-এর বেশি মানুষকে খুন করেছেন হ্যারল্ড শিপম্যান। সমাজ ও বন্ধুমহলের সঙ্গে তার সম্পর্ক ভালোই ছিল। মাঝেমধ্যেই তার চেম্বার এবং হাসপাতালের কাছাকাছি মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখা যেত। ময়নাতদম্তে সব মৃতদেহেই একটা জিনিসের মিল ছিল। তা হলো ডায়ামরফিন। শিপম্যান তার রোগীদেরকে রীতি মতো জবরদস্তি করে এই ডোজ দিতেন। অতঃপর তিনি পুলিশের হাতে ধরা পড়েন। ২০০৪ সালে জেলে থাকার সময় আত্মহত্যা করেন ফ্রেডরিক শিপম্যান।
গ্যারি রিগওয়ে
আমেরিকার সিরিয়াল কিলারদের মধ্যে ইনি অন্যতম। ২০০১ সালে গ্যারিকে গ্রেফতার করা হয় চার জনকে খুন করার অভিযোগে। পরে পুলিশের সামনে তিনি কবুল করেন যে ৮০ থেকে ৯০ সালের মধ্যে অন্তত ৭০ জন নারীকে তিনি খুন করেছেন। এদের মধ্যে আবার পাঁচ জনকে গ্রিন নদীতে ভাসিয়েও এসেছিলেন। তিনি ‘দ্য গ্রিন রিভার’ বলে অধিক খ্যাত। গ্যারি রিগওয়েকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
জন জর্জ হাই
১৯৪০ এর নাম করা এই সিরিয়াল কিলারের আরেক নাম ‘অ্যাসিড বাথ মার্ডারার’। তার টার্গেট ছিল উচ্চবিত্তরা। এমনই ৯ জনকে তিনি হত্যা করেছেন যারা ছিলেন সেই সময়ের ডাকাবুকো ব্যবসায়ী। তারপর তাদের দেহ সালফিউরিক অ্যাসিডে দ্রবীভূত করতেন। ১৯৪৯ সালে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।
টমি লিন সেলস
টেক্সাসের নাম করা এক ঘাতক টমি লিন। ইনিও কমপক্ষে ৭০ জনকে খুন করেছেন। সালটা ১৯৮৫ থেকে ৯৯ এর মাঝামাঝি সময়ে। ১৩ বছরের এক বাচ্চা মেয়েকে টমি ছুরি দিয়ে ১৬ বার কুপিয়ে মেরেছিলেন। ১০ বছরের একটি মেয়ের সঙ্গেও প্রায় একি কান্ড ঘটিয়েছিলেন। সেলসকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।
চার্লস এনজি ও লিওলার্ড লেক
এক সঙ্গে কাজ করতেন এই দুই ঘাতক। ক্যালাভেরাসে ২৫ জনকে নির্যাতন করে খুন করেছিলেন এঁরা। তাদের এই কার্যকলাপ জনসমক্ষে আসে যখন লেক আত্মহত্যা করে। আর তারপর এনজিকে গ্রেফতার করা হয়। এনজি এখন সাঁ কুয়েনতিন জেলে বন্দি।
ডেভিড বারকোউইটজ
সন অব সাম বলে তাকে লোকে বেশি চিনত। ১৯৭৬ সালে ৪৪ ক্যালিবার বুলডগ রিভলভার দিয়ে ডেভিড ৬ জনকে খুন করেন এবং ৭ জনকে আহত হন। পরেও যে এমন কাণ্ড ঘটাতে পারেন এই মর্মে চিঠিও লেখেন বেশ কিছু পুলিশ এবং প্রেসকে। কয়েক দিনের মধ্যেই ধরা পড়েন।
সূত্র: আনন্দবাজার
‘কেজিএফ’ এর রকি চরিত্রে অনুপ্রাণিত হয়ে গ্যাংস্টার হতে চেয়েছিলেন ১৯ বছরের এক তরুণ!
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।