গরমে নিজেকে হাইড্রেটেড রাখতে সতেজ পানীয় পান করা জরুরি। গরমের তীব্রতাকে হার মানাতে আমাদের খাবারে আরও বেশি পানি যোগ করা প্রয়োজন। গরমের এই সময়ে বিভিন্ন ফলের রস খাওয়ার প্রবণতা বাড়ে। ফলের রস তৃষ্ণা মেটাতে এবং গ্রীষ্মের তাপ থেকে বাঁচতে দারুণ কাজ করে। তবে রসে প্রাকৃতিক মিষ্টি উপাদান থাকায় এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য সব সময় উপকারী না-ও হতে পারে। ডায়াবেটিস রোগীদের বেশ কিছু খাদ্যতালিকাগত সীমাবদ্ধতা থাকে, কারণ ডায়াবেটিস রক্তে শর্করার মাত্রায় পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করতে পারে। এই গ্রীষ্মে ডায়াবেটিস রোগীরা এই ৩ ফলের রস পান করা থেকে বিরত থাকবেন-
১. আমের রস
পুষ্টিবিদদের মতে, ডায়াবেটিস রোগীদের আমের রস খাওয়া এড়ানো উচিত। আমের জিআই সূচক ৫০-৫৬ এর কাছাকাছি। তাই বিশেষজ্ঞদের মতে, যদি আপনার সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে তাহলে আপনি সপ্তাহে তিনবার পর্যন্ত আম খেতে পারেন। তবে আমের রস বা জুস খাওয়া এড়িয়ে চলতে হবে।
২. তরমুজের রস
তরমুজের রসের জিআই সূচক কোথাও কোথাও ৭২ এর কাছাকাছি। তাই পুষ্টিবিদরা ডায়াবেটিস বা অন্যান্য অনেক রোগীর ক্ষেত্রে তরমুজের রস এড়ানোর পরামর্শ দেন, যদি তা অনেক পছন্দের পানীয় হয়ে থাকে তবুও। তবে আপনার ব্লাড সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকলে পরিমিত আকারে তরমুজ খেতে পারবেন, অন্যথায় নয়। তরমুজের রস পুরোপুরি এড়িয়ে চলাই ভালো হবে, যদি আপনার ডায়াবেটিস থাকে।
৩. আখের রস
ডায়াবেটিস রোগীদের কেন আখের রস খাওয়া উচিত নয় তা ব্যাখ্যা করে, ভারতীয় পুষ্টিবিদ পাঞ্চাল আমাদের দাদা-দাদিদের উদাহরণ দিয়েছেন। তিনি বলেন যে, আমাদের দাদা-দাদিদের সক্রিয় জীবনধারা ছিল যার কারণে তাদের শরীরে আখের রস খাওয়ার সামর্থ্য ছিল। যেহেতু আধুনিক লাইফস্টাইললি আরও বেশি অলস হয়ে উঠেছে, তাই আখের রস খাওয়ার অভ্যাস ক্ষতিকর হতে পারে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।