জুমবাংলা ডেস্ক: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘ডিজিটাল (অনলাইন) সেবা পেয়ে দেশের ১৬ কোটি মানুষ গর্বিত। শ্রমিক-কৃষক থেকে সকলে সেবা পাচ্ছি। ডিজিটাল এ সেবা না থাকলে সমগ্র বিশ্ব থেকে আমরা বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতাম।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা আমাদেরকে ডিজিটাল সেবায় নিয়ে গেছেন। আমরা চলতে চলতে ডিজিটাল সেবার মাধ্যমে কাজ করতে পারি। এ ডিজিটাল সেবার স্বপ্নদ্রষ্টা প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টার সরাসরি নির্দেশনায় প্রধানমন্ত্রীর ভিশন-২০২১ ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ বিনির্মাণের প্রত্যয় নিয়ে কাজ করা হচ্ছে।’
প্রতিমন্ত্রী আজ অনলাইনের মাধ্যমে লালমনিরহাটের বুড়িমারী স্থলবন্দরে ‘ই-পোর্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম’ সফট্ওয়্যার এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ই-পোর্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের মাধ্যমে বুড়িমারী স্থলবন্দর আরও গতিশীল হবে, স্বচ্ছতা আসবে, হয়রানি কমে যাবে এবং সেবার মান আরও বৃদ্ধি পাবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দুরদর্শী, সাহসী ও বিচক্ষণ নেতৃত্বের ফলে আমরা সমগ্র পৃথিবীর দৃষ্টির মধ্যে আছি। দেশ কিভাবে এগিয়ে যেতে পারে-শেখ হাসিনা একটি ‘রোল মডেল’ হিসেবে কাজ করছেন। তাঁর সার্বিক দিক নির্দেশনায় আমাদের কাংখিত বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে সক্ষম হব।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী পরে অনলাইনের (জুম) মাধ্যমে বুড়িমারী স্থলবন্দরে ‘ই-ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম’ সফট্ওয়্যার এর উদ্বোধন করেন।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষের আওতাধীন ২৪ টি স্থল বন্দরের মধ্যে ১২টি স্থলবন্দরের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এর মধ্যে বর্তমানে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রাজস্ব আদায়কারী বন্দর বুড়িমারী স্থলবন্দর। স্থলবন্দরে আমদানি রপ্তানি বাণিজ্যে গতিশীলতা আনয়ন এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সেবা সহজীকরণ ও ই-সার্ভিসের আওতায় ‘ই-পোর্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম’ সফটওয়্যার লালমনিরহাট জেলার বুড়িমারী স্থল বন্দরে বাস্তবায়ন করা হয়েছে।
এর ফলে স্থলবন্দরের বিদ্যমান সকল সেবা অনলাইন সেবার মাধ্যমে সম্পন্ন হবে। স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ, সিএন্ডএফ এজেন্ট, আমদানি-রপ্তানিকারকগণ উপকৃত হবেন ও সেবা গ্রহীতাদের সময় এবং খরচ কমবে এবং স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি প্রসার বৃদ্ধি পাবে। পণ্যবাহী ভারতীয় গাড়ি বন্দর অভ্যন্তরে প্রবেশের সাথে সাথে পণ্যের তথ্য এবং পণ্যের ওজনের তথ্য স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে এসএমএস এবং ইমেইলের মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে আমদানিকারকের নিকট পৌঁছে যাবে। স্বয়ংক্রিয় বিলিং, পণ্যের পোস্টিং, বন্দরের গেট পাশ, অনলাইন ডেলিভারী, অনলাইন মনিটরিং ও রিপোর্ট (ড্যাশবোর্ড), অনলাইন পেমেন্ট সুবিধা, আমদানিকারক/সিএন্ডএফ এজেন্ট/ভারতীয়গাড়ীচালক/পণ্যের তথ্য সংরক্ষণ সুবিধা থাকবে।
‘ই-পোর্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম’টি বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল কর্তৃক টেস্টিং এবং ন্যাশনাল ডাটা সেন্টারে হোস্টিং এর ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এতে তথ্যের নিরাপত্তা শতভাগ নিশ্চিত থাকবে। উক্ত সেবা থেকে বুড়িমারী স্থল বন্দরের ১৬টি জনবান্ধব সেবা প্রদান করা হচ্ছে এবং এই সিস্টেমটি থেকে বছরে প্রায় ৬৫০০০-৭০০০০ জনগণ সেবা পাবে।
বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কে. এম. তারিকুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক এমপি, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ মোতাহার হোসেন এমপি, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের এটুআই’র প্রকল্প পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) ড. মোঃ আব্দুল মান্নান, আমদানি রপ্তানিকারক সমিতির সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির সওদাগর, সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি ইকবাল আহমেদ ফখরুল হাসান (রাসেল) প্রমুখ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।