জুমবাংলা ডেস্ক : ডিমের বাজারে আবারো অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। সরবরাহ সংকটের অজুহাতে গত কয়েকদিনে ডিমের দাম দফায় দফায় বেড়েছে। ফলে বাজারে ডিমের দাম ক্রমশ বাড়তে থাকায় ভোক্তারা ক্ষুব্ধ।
অন্তর্বর্তী সরকার ডিমের দাম বেঁধে দিলেও গত দুই দিনের ব্যবধানে ডিমের দাম হালিতে পাঁচ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। বাজারে ডিমের ডজন এখন ১৭০ টাকা থেকে ১৮০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে।
স্থানীয় বাজারগুলোতে ডিমের হালি সাধারণত ৬০ টাকা এবং ডজন ১৭০-১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে।
রাজধানীর পশ্চিম ভাষানটেকের বাসিন্দা আবদুল আউয়াল জানান, ‘মাছ-মাংসের বিকল্প হিসেবে ডিম কিনি। যেভাবে দাম বাড়ছে তাতে ডিম খাওয়াও বাদ দিতে হবে। সব সবজির দামও নাগালের বাইরে। একসময় ডাল ও আলুর ভর্তা দিয়ে একবেলা খাওয়া গেলেও আলুর যে দাম তাতে আলু ভর্তা খাওয়াও ছেড়ে দিতে হচ্ছে।’
দাম বাড়ার জন্য ক্ষুদ্র খামারি এবং কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান ও তেজগাঁওয়ের পাইকারি ব্যবসায়ীরা একে অপরকে দুষছেন। যদিও সরকার নির্ধারিত দামে ডিম পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ রয়েছে।
বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন অভিযোগ করছে, করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো সিন্ডিকেট করে দাম বাড়ানোয় এখন ডিমের দাম বেড়েছে।
অন্যদিকে, করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো বলছে বন্যার কারণে ডিমের সরবরাহ কমে যাওয়ার কারণে দাম বেড়েছে।
বাজারে ডিমের দাম স্বাভাবিক রাখতে গত ১৫ই সেপ্টেম্বর ডিমের উৎপাদন, পাইকারি ও খুচরা দাম নির্ধারণ করে দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর।
অধিদপ্তরের আদেশে উৎপাদক পর্যায়ে প্রতিটি ডিম ১০ টাকা ৫৮ পয়সা, পাইকারিতে ১১ টাকা এবং খুচরা পর্যায়ে ১১ টাকা ৮৭ পয়সা দাম নির্ধারণ করা হয়।
অথচ সরকারি প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ টিসিবির প্রতিবেদনই বলছে, খুচরা বাজারে ক্রেতাদের অনেকটাই বেশি দামে কিনতে হচ্ছে ডিম।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।