
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : নেদারল্যান্ডস আর বেলজিয়ামের দুটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ডিমে বিষাক্ত ফিপ্রোনিল মেশানোর অভিযোগ উঠেছিল। এই কারণে হত্যা করা হয়েছিল ৩০ লাখ মুরগি, নষ্ট করা হয়েছিল লাখ লাখ ডিম। এরপর ইউরোপের একশ ২০ জন মুরগি খামারি নেদারল্যান্ডস ও বেলজিয়ামের প্রতিষ্ঠান দুটির মালিকের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন। মামলায় ক্ষতিপূরণও দাবি করেছিলেন তারা। অবশেষে সেই মামলার রায় হয়েছে।
চিকফ্রেন্ড ও ঠিকক্লিন নামের প্রতিষ্ঠান দুটোর কাজ মুরগি শিল্পকে জীবাণুমুক্ত রাখা। ২০১৭ সালে তাদের বিরুদ্ধেই উঠেছিল ডিম বিষাক্ত করার অভিযোগ। অভিযোগে বলা হয়, প্রতিষ্ঠান দুটি মুরগি খামারিদের প্রাকৃতিক উপাদানে তৈরি নিরাপদ জীবাণুনাশক বলে যা সরবরাহ করেছিল তা আসলে ছিল মাছি, উকুন এবং এঁটেল পোকা মারার ওষুধ ডেগা-১৬। প্রতিষ্ঠান দুটো ইউক্যালিপটাস এবং মেন্থল মিশিয়ে তৈরি করা নিরাপদ জীবাণুনাশক বলে চালিয়ে দিলেও সেই ওষুধে আসলে ফিপ্রোনিল থাকে।
অভিযোগ ওঠার পর ইউরোপের ২৫ টি দেশ এবং হংকংয়ের বাজার থেকে লাখ লাখ ডিম ফিরিয়ে নিয়ে নষ্ট করতে বাধ্য হন মুরগি খামারিরা। হত্যা করতে হয় ৩০ লাখ মুরগি। ২০১৭ সালে চিকফ্রেন্ড এবং চিকক্লিনের দুই নির্বাহীকে গ্রেপ্তার করা হলেও পরে মামলা নিষ্পত্তির আগ পর্যন্ত তারা জামিনে মুক্তি পান৷ এরপর বুধবার নেদারল্যান্ডসের আরনেম শহরের আদালত ডিম জীবাণুমুক্ত করার নামে বিষাক্ত করার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় প্রতিষ্ঠান দুটিকে দোষী সাব্যস্ত করেছে। প্রমাণিত হয়েছে যে তারা ডিমে বিষ মিশিয়েছিলেন।
সূত্র : ডিডাব্লিউ বাংলা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।