জুমবাংলা ডেস্ক : বহুল সমালোচিত জামালপুরের সাবেক জেলা প্রশাসক আহমেদ কবীরের সঙ্গে তার অফিস সহায়কের অবৈধ শারীরিক সম্পর্কের পুরো ভিডিও ইউটিউবসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফাঁস হয়েছে। গতকাল রোববার থেকে এ ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ে। নামে বেনামে বিভিন্ন আইডি থেকে ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়েছে। এদিকে ভিডিও ভাইরাল হওয়া নারী অফিস সহায়ক সানজিদা ইয়াসমিন সাধনা রোববার নিখোঁজ থাকলেও তিনি সোমবার অফিসে এসেছেন বলে জানিয়েছেন একুশে টেলিভিশনের জামালপুর প্রতিনিধি।
গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে খন্দকার সোহেল আহমেদ নামে একটি ফেইসবুক আইডি থেকে জেলা প্রশাসকের আপত্তিকর ভিডিওটি পোস্ট করা হয়। প্রথমে কবীর ও সাধানার অনৈতিক কর্মকাণ্ডের সাড়ে তিন থেকে চার মিনিটের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়। যদিও বিষয়টি অস্বীকার করে ঘটনাটি ‘সাজানো’ বলে দাবি করেন ডিসি আহমেদ কবীর। ফেইসবুকের একটি আইডি থেকে প্রকাশ করা হলেও পরে তা সরিয়ে নেওয়া হয়।
ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর আহমেদ কবীরকে রোববার জেলা প্রশাসকের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মোহাম্মদ এনামুল হককে জেলার নতুন জেলা প্রশাসক নিয়োগ দেয়া হয়।
এদিকে ডিসি আহমেদ কবীরের ওএসডি’র আদেশ আসার আগেই জনরোষ আতংকে রাতের আঁধারে জামালপুর ছেড়ে চলে যান আহমেদ কবির। বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থায় শনিবার রাত ৩টায় তিনি জামালপুর ত্যাগ করে ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে আশ্রয় নেন বলে একটি সূত্রে জানা যায়।
এদিকে সেই ডিসির সঙ্গে অন্তরঙ্গ মুহূর্তে থাকা নারী সানজিদা ইয়াসমিন সাধনা কিভাবে চাকরি পেলেন তা নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন।
জানা যায়, জামালপুরের মাদারগঞ্জের শুকনগরী গ্রামের সানজিদা ইয়াসমিন সাধনার স্বামী গত ৭ বছর আগে মা’রা যান। তার একটি ষষ্ঠ শ্রেণি পড়ুয়া একটি সন্তান রয়েছে। ২০১৮ সালে জেলার উন্নয়ন মেলায় হস্তশিল্পের স্টল বরাদ্ধ নেয়ার জন্য জেলা প্রশাসক আহমেদ কবিরের সঙ্গে দেখা হয় সাধনার। তার সৌন্দর্যের কারণেই জেলা প্রশাসক আহমেদ কবীর তাকে বিনামূল্যে স্টল বরাদ্দ দেন। পরে উন্নয়ন মেলা চলাকালে আহমেদ কবীরের সঙ্গে সখ্য আরও গভীর হয়। একপর্যায়ে সে সখ্যতা রূপ নেয় শারীরিক সম্পর্কে। সম্প্রতি সেই অবৈধ সম্পর্কের একটি ভিডিও চিত্র ভাইরাল হয়।
চলতি বছর জানুয়ারিতে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ২৭ জনকে অফিস সহায়ক (পিয়ন) পদসহ ৫৫ জনকে নিয়োগ দেয়া হয়। সেই সম্পর্কের সূত্র ধরে ডিসি অফিসে পিয়ন (অফিস সহকারী) পদে নিয়োগ পান সাধনা। সেই সঙ্গে তার দুই আত্মীয় রজব আলী ও সাবান আলীকে অফিস সহায়ক পদে নিয়োগ পাইয়ে দেন তিনি। পিয়ন পদে চাকরি করলেও সাধনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে বেশ প্রতাপেই থাকতেন। আহমেদ কবীরের সঙ্গে সখ্যতা থাকার কারণে তার প্রভাবের বিরুদ্ধে ঊর্ধ্বতন কেউই কথা বলতে সাহস পেতেন না। এমনকি তার হাতে একাধিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার লাঞ্ছিত হওয়ার কথাও জানা যায়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।