যেকোনো ভাইরাস আসলে প্রোটিনে তৈরি প্যাকেটে রাখা কিছুটা নিউক্লিয়িক অ্যাসিড ছাড়া আর কিছু নয়। বাইরের ওই প্যাকেটটিকে বলে ক্যাপসিড। ভেতরের নিউক্লিয়িক অ্যাসিড হলো ভাইরাসের জিনোম। সেটি হয় ডিএনএ, নয়তো আরএনএ হবে—দুই রকম একসঙ্গে থাকে এমন ভাইরাস এখনো আবিষ্কৃত হয়নি। কোনো কোনো ভাইরাসে ক্যাপসিডের বাইরেও আর একটি আবরণ থাকে, যার নাম এনভেলোপ।
এটি ফসফোলিপিড, প্রোটিন ও গ্লাইকোপ্রোটিন ইত্যাদি দিয়ে গঠিত। এগুলো কোষঝিল্লির উপকরণ। তাই বলে ভাইরাস কোষ নয়। এনভেলোপ মূলত সেই কোষের থেকে চুরি করে নিয়ে আসা অংশ, যার ভেতরে ভাইরাসটি এর আগে বংশবৃদ্ধি করেছে। ডেঙ্গু ভাইরাস একপ্রকার আরএনএ ভাইরাস, অর্থাৎ ক্যাপসিডের ভেতরে শুধু আরএনএ আছে।
একই প্রজাতির সদস্য হলেও সব মানুষ যেমন এক রকম নয়, সব ডেঙ্গু ভাইরাসও এক রকম নয়। তাদের জিনোমে আরএনএ সংকেতের তারতম্যের কারণে প্রোটিনের গঠনে পার্থক্য দেখা যায়। এ কারণে একই ভাইরাসের একেকটি প্রকরণের সঙ্গে দেহের সুরক্ষাব্যবস্থার প্রতিক্রিয়ার সূক্ষ্ম কিন্তু উল্লেখযোগ্য পার্থক্য হয়।
এ পার্থক্যের ভিত্তিতে ডেঙ্গু ভাইরাসের চারটি সেরোটাইপ DENV1, DENV2, DENV3 ও DENV4 নির্ধারণ করা হয়েছে। আরও সূক্ষ্ম পার্থক্যের ভিত্তিতে প্রতিটি সেরোটাইপের অন্তর্ভুক্ত একাধিক স্ট্রেইন নির্ণয় করা হয়েছে। তবে এ আলোচনায় ততটা না জানলেও চলবে। অন্য সব জীবের মতো ভাইরাসও পরিবর্তিত পরিবেশ ও পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিচ্ছে। সম্প্রতি আবিষ্কৃত হয়েছে ডেঙ্গুর পঞ্চম সেরোটাইপ DENV5। এর সম্পর্কে আমাদের কাছে তথ্য খুবই অপর্যাপ্ত।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।